স্যাট নির্দেশ দিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়াতে হবে, দিতে হবে বকেয়াও

স্যাটস্যাট

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল) এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিতে নির্দেশ দিল। শুক্রবার স্যাট-এর বিচারপতি এবং প্রশাসনিক সদস্য ওই নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন দেশের ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স’-এর উপর ভিত্তি করে ওই ডিএ নির্ধারণ করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তা নির্ধারণ করে ছ’মাসের মধ্যে কার্যকর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ২০০৯-এর জুলাই থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার আগে পর্যন্ত সমস্ত বকেয়া ডিএ আগামী এক বছরের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্যাট। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকরী হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বছরে দু’বার ডিএ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বাংলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে

স্যাটের নির্দেশ জানার পর থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। তবে, তাঁদের মনে সংশয়ও রয়েছে। কারণ, স্যাটের এই রায় রাজ্য সরকার আদৌ মেনে নেবে তো? নাকি উচ্চতর আদালতে যাবে রাজ্য? যদিও এ নিয়ে শুক্রবার মুখ খোলেনি নবান্ন। তবে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে গেলে প্রচুর বাড়তি টাকা খরচ হবে।

আগামী তিন মাসের মধ্যে ডিএ নির্ধারণ করে ছ’মাসের মধ্যে কার্যকর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চেয়ে স্যাটে মামলা করেছিল আইএনটিইউসি প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং ইউনিটি ফোরাম। স্যাট জানিয়ে দেয় ডিএ দেওয়া হবে কি না, তা গোটাটাই রাজ্য সরকারের ব্যাপার। স্যাটে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ২০১৭-তেই কলকাতা হাইকোর্টে যায় ওই দুই কর্মী সংগঠন। ২০১৮-য় হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ডিএ কর্মীদের ন্যায্য অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তবে বছরে ক’বার এবং কী হারে ডিএ দেওয়া হবে তা নির্ধারণের জন্য ফের স্যাটের কোর্টেই বল পাঠায় হাইকোর্ট।

এর পর ফের বিষয়টি নিয়ে শুনানি শুরু করে স্যাট। কিন্তু মামলা চলাকালীনই রাজ্য সরকার ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টকে তার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয় সরকারের তরফে। সে সময়ে স্যাটের শুনানি ফের বন্ধ হয়ে যায়। হাইকোর্ট অবশ্য আগের রায় বদলায়নি। ফলে স্যাটে ফেরে মামলা। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল আগেই। এ দিন রায় ঘোষণা হল।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)