বাংলার সংস্কৃতি কর্মীদের খোলা আবেদন, বিশ্বভারতীতে সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমের প্রেক্ষিতে

বাংলার সংস্কৃতি কর্মীদের খোলা আবেদন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বাংলার সংস্কৃতি কর্মীদের খোলা আবেদন প্রকাশ্যে এল। শঙ্খ ঘোষ, তরুণ মজুমদার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত-সহ ২৬ জনের স্বাক্ষর রয়েছে ওই আবেদনে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই আবেদন প্রকাশ্যে এনেছেন এ রাজ্যের ওই সংস্কৃতি কর্মীরা।

ওই খোলা আবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী নিকট সময়ে যে কর্মকাণ্ড এবং ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে চলেছে, তা  ক্রমাগত আমাদেরর হৃদয় ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। কিন্তু অতি সম্প্রতি উপযুক্ত ঐকমত্য ও সহযোগিতার প্রস্তুতি ছাড়াই কর্তৃপক্ষের বিশ্বভারতীর সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, তার ফলে এক অরাজক ভাঙচুর এবং পরবর্তী সময়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, বিশ্বকবির আশ্রম তাতে রাজনীতির কাদামাখা কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বহুদিনের ঐতিহ্য-বাহিত স্মৃতি, শান্তিনিকেতনের সুষমা ও বিশ্বভারতীর শিক্ষা… সবই সমূলে নষ্ট হতে বসেছে।’’


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বাংলার সংস্কৃতি কর্মীদের খোলা আবেদন-এ এর পরেই লেখা হয়েছে, ‘‘এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি আমাদের গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন ও বিচলিত করে তুলেছে। কোনও রাজনৈতিক দল অথবা কোনও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের দিকে আমরা আমাদের অসন্তোষ-অভিযোগ ও অনুমানের অভিমুখ নির্দেশ করে অবস্থা ও অবস্থান আরও জটিল করে তুলতে চাই না… কিন্তু সুস্পষ্ট ভাবে এই অনভিপ্রেত ঘটনার সাথে যুক্ত কায়েমি কোনও পক্ষকেই সমর্থন করছি না, বরং সদর্থক ও সংবেদনশীল এক অবিচল পক্ষপাতহীনতা থেকে অবিলম্বে এই বেদনাদায়ক পরিবেশের অবসান চাইছি। আমরা মনে করি, সম্মিলিত শুভবোধ-উদ্যোগ ও উদারতাই পারে বাংলা ও বাঙালির আবেগজড়ানো বিশ্বভারতীর শান্তি ও মর্যাদা রক্ষা করতে।’’

ওই আবেদনে যাঁদের স্বাক্ষর রয়েছে— শঙ্খ ঘোষ, তরুণ মজুমদার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, মনোজ মিত্র, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, চন্দন সেন, হরিমাধব মুখোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহাগ সেন, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনীক দত্ত, ওয়াসিম কাপুর, হিরণ মিত্র, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, দেবাশিস মজুমদার, কৌশিক সেন, দেবশঙ্কর হালদার, শুভেন্দু মাইতি, মুরারি রায়চৌধুরী, কল্যাণ সেন বরাট, সীমা মুখোপাধ্যায়, দেবজ্যোতি মিশ্র এবং তপনজ্যোতি দাসের।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)