ভারতী ঘোষ বিজেপিতে যোগ দিয়েই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে

ভারতী ঘোষ বিজেপিতেছবি বিজেপির টুইটার থেকে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  ভারতী ঘোষ বিজেপিতে যোগ দিলেন। সোমবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা তথা আইপিএস অফিসার ভারতী দেবীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

বিজেপিতে যোগ দিয়েই ভারতী তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে রবিবার রাত থেকে ধর্নায় বসেছেন মমতা। তিনি এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘সত্যাগ্রহ’। ভারতী এ দিন সেই সত্যাগ্রহকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধর্না সত্যাগ্রহ নয়। অসত্যাগ্রহ।” একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ রাজ্যের বহু মানুষ যখন সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিলেন চিটফান্ডের কবলে পড়ে, তখন কোথায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? তখন কোথায় ছিল তাঁর সত্যাগ্রহ!

অথচ এই ভারতীর সঙ্গেই এক কালে তৃণমূলের সম্পর্ক ছিল যথেষ্ট ভাল। তিনি যখন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, তখন অভিযোগ ছিল বকলমে ভারতীই তৃণমূলের সংগঠন চালান। একটা সময় জল্পনা শুরু হয়, হয়তো জঙ্গলমহল থেকে তিনিই নির্বাচনে লড়বেন। প্রশাসনিক সভা থেকে মমতাকে তো এক বার ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলেও সম্বোধন করেন ভারতী। কিন্তু, সবং কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সময় থেকে ভারতীর সঙ্গে মমতা দূরত্ব বাড়তে থাকে। জল্পনা শুরু হয়, বিজেপিতে যাওয়া মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন ভারতী।

মোদী-দিদি তরজা, শনিবাসরীয় পশ্চিমবঙ্গ তাতেই জমে থাকল দিনভর

ঠিক তার পর পরই ২০১৭-র ২৫ ডিসেম্বর নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে ভারতীর বদলির কথা জানানো হয়। তাঁকে ব্যারাকপুরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের তৃতীয় ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসারের পদে পাঠানো হয়। এর পরেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন ভারতী। সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। তার পরেই দাসপুর সোনা-কাণ্ড সহ একাধিক মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে। জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও। তার পর থেকে ভারতী সিআইডি-র হিসাবে ‘ফেরার’ ছিলেন।

এ দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন ভারতী। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী রাজীব কুমারকে বিশ্ব সেরা বলে উল্লেখ করেন। ভারতী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘যদি সেরা পুলিশ কমিশনারই হবেন উনি, তবে চিটফান্ড কাণ্ডে কাউকে ধরতে পারেননি কেন?’’

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতী কি জঙ্গলমহল থেকে ভোটে লড়বেন? ভারতী যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দেননি। জানিয়েছেন, ভোটে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা ঠিক করবেন।

(বাংলার আরও খবর পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)