জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গ্রেফতার বিজেপি নেতা, তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে। যিনি তুলেছেন তিনি তাঁর দলেরই নেত্রী।
সোমবার রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লির করোলবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। বেহালা থানায় অমলেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিজেপির এক নেত্রী। সেই অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, অমলেন্দুবাবু ওই নেত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশা করেন। তিনি ওই নেত্রীকে বিয়ে করবেন বলেও আশ্বাস দেন। আর প্রতিশ্রুতির জেরে বহু বারই ওই নেত্রীর সঙ্গে অমলেন্দুবাবু শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন।
ওই শারীরিক সম্পর্কের জেরে তিন বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় ওই নেত্রীকে প্রতি বারই চাপ দিয়ে গর্ভপাত করাতে বাধ্যও করেন অমলেন্দুবাবু। এমন অভিযোগও পুলিশের কাছে করেছেন ওই নেত্রী। তবে এত কিছুর পরেও অমলেন্দুবাবু ওই নেত্রীকে বিয়ে করেননি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি তিনি ওই নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।
দেনা, বিজয়া এবং ব্যাঙ্ক অব বরোদা মিশে তৈরি হচ্ছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক
গত অগস্ট মাসে অমলেন্দুবাবুর সঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেত্রী। তেমনটাই তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। অগস্টের ৫ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত তাঁরা দু’জনে দিল্লিতে ছিলেন বলে ওই নেত্রীর দাবি। তার পর থেকেই আর অমলেন্দুবাবু তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখছিলেন না বলে তিনি পুলিশকে জানান। ফোন করলে ধরছিলেন না, এসএমএস-এরও জবাব দিচ্ছিলেন না অমলেন্দুবাবু। কোনও ভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ওই নেত্রা। পুলিশের কাছে তেমনটাই জানিয়েছেন।
যোগাযোগ করতে না পেরে শেষে তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই নেত্রী। এর পরেই দিল্লি থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়।
তবে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এটা রাজ্য সরকারের ষড়যন্ত্র। বিজেপির মুখ কালিমালিপ্ত করতেই এমনটা করা হয়েছে। দলের সঙ্গে অভিযোগকারিণীর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও বিজেপির দাবি। তবে, একটা সময়ে ওই মহিলা দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে মেনে নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বের একটা অংশ। তবে, বর্তমানে যে দলের সহ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই, তা-ও জানিয়েছেন ওই নেতারা।
শারীরিক সম্পর্কের জেরে তিন বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় ওই নেত্রীকে প্রতি বারই চাপ দিয়ে গর্ভপাত করাতে বাধ্যও করেন অমলেন্দুবাবু। এমন অভিযোগও পুলিশের কাছে করেছেন ওই নেত্রী। তবে এত কিছুর পরেও অমলেন্দুবাবু ওই নেত্রীকে বিয়ে করেননি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি তিনি ওই নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।