জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। সোমবার রাতে এক বিবৃতি জারি করে এই রদবদলের কথা ঘোষণা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দিলীপকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে। সভাপতি পদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালেই কলকাতা পৌঁছবেন সুকান্ত। প্রথমে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলীধর সেন লেন এবং পরে হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে যাবেন তিনি। সুকান্ত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পরেই নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানিয়েছেন দিলীপ।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসাবে দিলীপের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার প্রায় ১ বছর ৪ মাস আগেই তাঁকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই বদল, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, বিধানসভা ভোট মূলত দিলীপের তত্ত্বাবধানেই হয়েছিল। কিন্তু সেই ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। যার সামগ্রিক দায় দিলীপের উপরেই বর্তায় রাজ্য সভাপতি হিসাবে। কিন্তু এর পাল্টা যুক্তি রয়েছে দিলীপ অনুগামীদের কাছে। তাঁদের মতে, এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এ বার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনাতেই হয়েছে। সেখানে শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ পালন করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না দিলীপের।
অনেকে আবার বলছেন, এমনিতেই দিলীপকে সরতে হত। কারণ বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সবাপতি পদে দু’পর্যায়ের বেশি কেউ থাকতে পারেন না। ফলে দিলীপকে সরতেই হত। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। নতুন সভাপতিকে দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনের কাজ বুঝে উঠতে সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে ২০২৩-এর জানুয়ারি পর্যন্ত দিলীপকে রেখে দিলে নতুন সভাপতি সেই অর্থে কোনও সময়ই পাবেন না। তাই সুকান্তকে একটু আগেভাগেই সভাপতি করা হল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দিলীপ অনুগামীদের যুক্তি, আগাম কোনও আঁচ না দিয়েই দিলীপকে সরানো হয়েছে। এমনকি, ১ বছর ৪ মাস আগে সরানোটা নজিরবিহীন।
তার থেকে বড় কথা, দিলীপকে যে পদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদটি দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া মুকুল রায়কে। মুকুল বিজেপির টিকিটে ভোটে জেতার পর ফের তৃণমূলে ফিরে যান। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি বিজেপি ছাড়েননি। কিন্তু সেই শূন্য পদ দিলীপকে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অনুগামীরা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)