Bratya Basu রাজ্যপাল কেন আচার্য হবেন, প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর

Bratya Basu

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Bratya Basu এ বার রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে কেন রাজ্যপাল থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য মেনে শুধুমাত্র পদাধিকার বলে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য হবেন, না কি কৃতী বা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের ওই পদে বসানো হবে, এটা বিচার করার উপযুক্ত সময় এখন।’

তার আগে এ দিন দুপুরে এক সাবাদিক বৈঠকেও এমন প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই বৈঠকে তাঁর ইঙ্গিত ছিল, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। অন্তর্বর্তিকালীন আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর ভাবনাও তাঁর কথায় স্পষ্ট ছিল। তিনি জানান, এ বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘তিনি দিনের পর দিন এ ভাবে ফাইল ফেলে রাখেন। তিনি বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব যদি না দেখান, তা হলে কেরলের রাজ্যপাল যেমন বলেছেন, প্রাদেশিক স্তরে আমরাও তা করতে বাধ্য হব। সংবিধান খতিয়ে দেখব, দরকারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব। আমরা আইনজীবীদের কাছে জানতে চাইব, অন্তবর্তিকালীন সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারি কি না।’’

রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের বিরোধ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যকে ডেকে পাঠান। তা নিয়ে নতুন করে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজ্যপাল একের পর এক টুইটে দাবি করতে থাকেন, তাঁর উপর্যুপরি ডাকেও সাড়া দিচ্ছেন না রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা। শাসকের অঙ্গুলি হেলনেই এমনটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন পদাধিকার বলে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই প্রেক্ষিতেই সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় ব্রাত্য বসুর কাছে। ঘটনাচক্রে ব্রাত্যই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সেই সময় ব্রাত্য এ কথা বলেন।

তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, এই প্রসঙ্গে ব্রাত্যর মুখে উঠে আসে সিপিএম শাসিত কেরলের রাজ্যপালের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা। প্রসঙ্গত, কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেছিলেন, ওই রাজ্যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদে যেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নকে আনা হয়। কেরলেও রাজ্যপালের সঙ্গে নির্বাচিত বাম সরকারের বিরোধ অব্যাহত।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)