জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: জুনিয়র ডাক্তারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে যান নিচে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বয়েজ হস্টেলে থাকতেন তিনি। সেই বিল্ডিংয়েরই তিন তলার ছাদ থেকে পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বল স্বাভাবিক দৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে। তবে মৃত ডাক্তারের বাবা খুনের অভিযোগ তুলেছেন। তার পরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার তত্ত্ব উঠে এলেও এখন সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত ডাক্তারের নাম মোবাঐরক হোসেন, বয়স ২৩। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে।
বুধবার সকালে মোবারকের বাড়িতে ফোন করেন তাঁরই এক বন্ধু। তিনিই জানান, মোবারকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু তাঁর পরিবার হাসপাতালে পৌঁছে ছেলেকে মৃত অবস্থায় পায়। তখনই ছেলেকে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। এবং পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে মোবারককে। কারণ তাঁর শরীরে বেশ কিছু এমন ক্ষতচিহ্ন রয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে তাঁকে টেনে নেওয়া হয়েছে। খুনের কারণ বা কারা জড়িত থাকতে পারে তা নিয়ে বিশেষ কিছু জানাতে পারেনি তাঁর পরিবার।
মোবারকের বাবা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া দেখে তাঁরা জানতে পেরেছিলেন তাঁদের ছেলের কোনও মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সোমবার শেষ কথা হয় ছেলের সঙ্গে। এই ১৫ অগস্ট কাউন্সিলিংয়ের দিন ছিল মোবারকের। তার পরই হাউজ স্টাফ হয়ে পেশায় ঢুকে পড়ার কথা। তাহলে তিনি কেন আত্মহত্যা করবেন? কারও সঙ্গে শত্রুতার কথাও পরিবার কখনও শোনেনি। তবে তাঁর শরীরে যে সব আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা দেখে তাঁর পরিবারের সন্দেহ এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। তদন্ত চায় মোবারকের পরিবার।
আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা। সেটা এলেই মৃত্যুর কারণ অনেকটাই নিশ্চিত করা যাবে। পুলিশ মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে মৃত্যুর জায়গা খতিয়ে দেখে। পাশাপাশি হস্টেলের ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলে। ঘিরে রাখা হয়েছে জায়গাটি। হস্টেলের এক ছাত্র জানিয়েছেন, পৌড়ে তিনটে নাগাদ জোড়ে কিছু পড়ার শব্দ পান তাঁরা। তখনই সবাই ছুটে বেরিয়ে দেখেন মোবারককে পড়ে থাকতে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। কিন্তু চোট এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)