জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বর্ধমান স্টেশন বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল অল্পের জন্য। শনিবার যখন গিজ গিজ করছে গোটা বর্ধমান রেল স্টেশন তখন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্টেশনের একটা বড় অংশ। শনিবার রাত আটটা লাগাদ ঘটে এই ঘটনা। ঠিক তার কিছউক্ষণ আগেই হাওড়া-বর্ধমান লোকাল পৌঁছেছিল বর্ধমান স্টেশনে। বর্ধমান থেকে হাওড়া, কলকাতায় প্রচুর মানুষ নিয়মিত পেশার জন্য যাতায়াত করেন। এই ট্রেনটি ভর্তি থাকে সেকরমই লোক জনেই। শনিবার ও শীতের রাত হওয়ায় তুলনায় লোকসংখ্যা কম ছিল দুর্ঘটনার সময়। শুরুতে পুলিশ সূত্রের খবর ছিল কয়েকজন আহত হলেও মৃত্যু হয়নি কারও। কিন্তু গভীর রাতে এক গুরুতর আহত ব্যাক্তির মৃ্ত্যু হয়েছে।
বর্ধমান স্টেশনের মূল ফটকের একটা অংশ ভেঙে পড়ে। জানা যাচ্ছে জায়গাটি ভেঙে পড়ার আগে কাঁচ ফাটার শব্দ ও ইট খসে পড়ায় লোকজন সরে গিয়েছিল সেই জায়গা থেকে। যে কারণে মনে করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তুপের নিচে কেউ চাপা পড়ে নেই। যদিও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। ধ্বংসস্তুপ সরানো হলে তবেই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ।
যদিও এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। তার মধ্যে দু’জনের চোট বেশ গুরুতর ছিল। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎস চলছিল। তাঁদের মধ্যে একজনের মধ্য রাতে মৃত্যু হয়। মৃত ব্যাক্তির এখনও কোনও পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডক্টর অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, রাত ২.৩৫ নাগাদ সেই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। আর একজনের অবস্থা স্থিতিশীল। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে সেখানে সাময়িক হুড়োহুড়ির পরিস্থিতিও তৈরি হয়।
সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে দমকল, পুলিশ ও জিআরপি-র বিশাল বাহিনী। মনে করা হচ্ছে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই দুর্ঘটনা। একাংশ ভেঙে পড়ার কারণে স্টেশনের বিভিন্ন অংশে ফাঁটলও দেখা দিয়েছে। ভেঙে পড়তে পারে আরও অংশ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
যদিও হাওড়ার ডিআরএম ঈশা খান জানিয়েছেন, এই ঘটনার ফলে ট্রেন চলাচলের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। প্রচুর দূর পাল্লার ট্রেন এই বর্ধমান স্টেশন হয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু সব সঠিক সময়ে চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এক ও দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম। রেলের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে অনেকেই।
জানা গিয়েছে দু’বার ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের মূল ভবনের অংশ। রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনা স্থলে পৌঁছেছেন। জানা গিয়েছে, স্টেশনের সংস্কারের কাজ চলছিল। সেই সময়ই ভেঙে পড়ে। দু’ঘণ্টা পর শুরু হয় ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ। প্রশ্ন উঠছে রেলের পরিকঠামোর অবস্থা নিয়ে।
(রাজ্যের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)