মন্ত্রী হচ্ছেন সুজিত বসু, তালিকায় নির্মল, রত্না, তাপসের নাম

মন্ত্রী হচ্ছেন সুজিত বসুসুজিত, নির্মল, রত্না এবং তাপস।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মন্ত্রী হচ্ছেন সুজিত বসু, বৃহস্পতিবারই রাজভবনে শপথ নেবেন। তাঁর সঙ্গে আরও তিন বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধাননগর পশ্চিমের বিধায়ক সুজিত বসুর সঙ্গেই ওই দিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়, চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ এবং উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজি।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভায় ফের এক বার রদবদলের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সব মিলিয়ে ৪৪ জন সদস্য থাকার কথা। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই সংখ্যাটা ৪০-এ নেমে এসেছে। নতুন চার জনের অন্তর্ভুক্তিতে মন্ত্রিসভার সেই সদস্য সংখ্যা পূর্ণ হল।

বুধবারই চার জনের নামের ওই তালিকা রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বুধবার রাতে এই রদবদলের সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় রাজভবনে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রীরা।

লিগা প্রোডোজিও: দুই প্রধানের সভাপতির উপস্থিতিতে ঘণ্টা বাজল বেবি লিগের

যে চার জনের নাম রাজভবনে পাঠানো হয়েছে, সেই সুজিত বসু, তাপস রায়, রত্না ঘোষ এবং নির্মল মাজি প্রথম বার মন্ত্রী হচ্ছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, চার জনই প্রতিমন্ত্রী হবেন। এঁদের মধ্যে সুজিত বসু এবং তাপস রায় হবেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত। বাকি দু’জন প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু কে কোন দফতরের দায়িত্ব পাবেন, তা এখনও জানা যায়নি।

সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার পর থেকেই দমকল এবং আবাসন দফতর ফাঁকা রয়েছে। এখন দমকল দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আবাসন দফতরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের পরেই তাঁদের দফতর বণ্টন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই ১৯৯৮ সালে সিপিএমের সঙ্গে মনোমালিন্যের শুরু। তার পর দল ছেড়ে দিয়ে মমতার তৃণমূলে চলে আসা। তার পর ২০০৯ থেকে টানা তৃণমূলের বিধায়ক। কিন্তু, গত ১০ বছরে মন্ত্রিসভায় প্রবেশের ছাড়পত্র মেলেনি। এ বার মমতা সেই সুজিত বসুকেই মন্ত্রিসভায় নিয়ে এলেন। শোভনের পদত্যাগের পর জল্পনা ছিল, সুজিত মন্ত্রী হচ্ছেন। কিন্তু, তাঁর ভাগ্যে কো‌ন দফতরের সিঁকে ছেড়ে তা এখনও নিশ্চিত নয় কেউই।

অন্য দিকে, ১৯৯৬ সালে বিদ্যাসাগর কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথম বার বিধানসভায় গিয়েছিলেন তাপস রায়। ২০০১ সালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাপসবাবুকে প্রার্থী করেছিলেন বড়বাজার কেন্দ্র থেকে। সে বারও জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৬-এ মহম্মদ সোহরাবের কাছে হেরে গিয়ে ২০১১ থেকে বরাহনগর থেকেই টানা জিতে আসছেন। এই প্রথম মন্ত্রিসভায় যাওয়ার সুযোগ পেলেন।

অন্য দিকে রত্না এবং নির্মল দু’জনেই মমতার অত্যন্ত স্নেহধন্য। তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী কোন দফতর সামলানোর দায়িত্ব দেন, সে দিকেও তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

কলকাতা কাঁপছে, তবু হাওয়া অফিসের দাবি শীত আসবে বড়দিনের আগেই