রাজ্যের পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতার, ৫ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ

রাজ্যের পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতাররাজ্যের পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতার সিবিআইয়ের হাতে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। এর পর এ দিন দুপুরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল বলেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

নারদ-কাণ্ডের তদন্তে নেমে এই প্রথম কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গ্রেফতারের পর রাজ্যের পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা-কে হাজির করানো হয় নগর-দায়রা আদালতে। সেখানে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সিবিআই তাঁকে পাঁচ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুরও করেন। এর পর মির্জাকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। নিজেদের হেফাজতে পেয়ে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

বাংলার আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

নারদ নিউজের তরফে একটি স্টিং অপারেশন করা হয়েছিল ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে। সেই অপারেশনের ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে ২০১৬ সালে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তির কাছ থেকে রাজ্যের পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা টাকা নিচ্ছেন। তিনি তখন বর্ধমানের পুলিশ পদে চিলেন। ওই ভিডিয়োর কথোপকথন থেকে জানা যায়, নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিচ্ছেন মির্জা।

কেন তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন, কারও নির্দেশে ওই টাকা নিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে মির্জাকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। সংগ্রহ করা হয় তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনাও। এ দিন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা-র বক্তব্যে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে। বহু তথ্য তিনি গোপন করছেন। তাই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন ছিল। সে কারণেই গ্রেফতারি।

যদিও মির্জার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলকে ৯ বার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে। প্রত্যেক বারই তিনি হাজিরা দেন। তদন্তে সহযোগিতাও করেছেন। হঠাৎ কেন গ্রেফতারের প্রয়োজন পড়ল, সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)