জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মৌসম বেনজির নুর তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেস ছেড়ে। লোকসভা ভোটের আগে প্রদেশ কংগ্রেসকে বেশ বড়সড় ঝাঁকুনি দিয়ে উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর চলে এলেন তৃণমূলে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মৌসম। তার পরেই বেনজির ভাবে রাজ্যের মুখ্য সচিবালয়ে দাঁড়িয়েই জানিয়ে দিলেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।
এ দিন সন্ধ্যায় মৌসম যখন বলছেন, ‘আজ থেকে দিদির নেতৃত্বে কাজ করব। উনিই আমাদের ফেস। বিজেপি-র অশুভ ইনটেনশন রয়েছে। বাঙালি হিসেবে চাইব দিদিই প্রধানমন্ত্রী হোন’— তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মালদহে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী।
তবে মৌসমের এই দলবদলে যে তাঁর পুরনো দল বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে তা স্পষ্ট হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের বিবৃতিতে। এ রাতে প্রেস বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কোনও রকম নির্বাচনী সমঝোতা ও জোট হচ্ছে না, এটা বুঝতে পেরে মৌসম বেনজির নুর দলত্যাগ করেছেন। দলত্যাগ না করার জন্য রাজ্য কংগ্রেস এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব বারংবার অনুরোধ করেছিলেন মৌসম নূরকে। কিন্তু তিনি প্রতি বারই জানিয়েছিলেন যে দলত্যাগ করছেন না। বাস্তবে দেখা গেল মৌসম নূর দলীয় নেতৃত্ব এবং দলের কর্মীদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। সোমবার সকালবেলাতেও তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত আছেন এবং পরে ফোন করবেন বলে জানান তিনি। কিন্তু পরে আর ফোন করেননি।’ সোমেনের বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, মৌসম কার্যত তাঁকে গুরুত্বই দেননি।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে ফেসবুকে মৌসম একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে লেখা আছে…
তবে সেমেন এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য মালদহ উত্তর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘মৌসম নূর ছিলেন মাননীয় বরকত গণিখান চৌধুরীর বংশের প্রতিনিধি। তাঁর দলত্যাগ ও বিশ্বাসঘাতকতা প্রকারান্তরে আমৃত্যু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাসী প্রয়াত বরকত গণিখান চৌধুরীর প্রতি অপমান ছাড়া আর কিছু নয়।’’
বিজেপি বিরোধী ব্রিগেডে স্বস্তিতে মমতা, বললেন, ‘মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট এসে গিয়েছে’
মৌসম ২০০৯ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। মৌসমের মা রুবি নূরের প্রয়াণে সুজাপুর আসনটি খালি হয়। মায়ের আসনে মৌসমই লড়েন এবং বিধায়ক হন। ওই বছরই লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদহ কেন্দ্র থেকে মৌসমকে ফের প্রার্থী করে কংগ্রেস। সে ভোটেও মৌসম জেতেন। ২০১৪ সালে আবার উত্তর মালদহ থেকে মৌসম জয়ী হন।
(রাজ্যের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন)