রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১০, মৃতের সংখ্যা একই রয়েছে, ৭

রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১০রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১০

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১০ হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা একই রয়েছে (৭)। সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, সেখানে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সন্ধ্যার ওই বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ জন বেড়েছে।

এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নাইসেড এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছ’জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। উদ্বেগ রয়েছে মেডিক্যালে করোনা-আক্রান্ত এক মাকে নিয়েও। এর আগেও, হাওড়া জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতাল থেকে সংক্রমণের ঘটনার ইঙ্গিত রয়েছে।


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

রবিবার রাতেই ৭ দিনের জন্য চিনার পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর মৃত্যুর পরে জানা যায় যে, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে খোঁজ নিতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে, ওই আক্রান্ত ব্যক্তির ডায়ালিসিসের সময় ছিলেন আরও পাঁচ রোগী। সূত্রের খবর, ওই মৃত রোগীর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাসপাতাল কর্মী-সহ মোট ৮ জন।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সন্তান প্রসবের পরে মায়ের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। ওই হাসপাতালের পূর্ত দফতরের এক কর্মীও আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন। গত বুধবার ভোরে প্রসূতি বিভাগে নারকেলডাঙার বাসিন্দা ওই মহিলাকে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যার দিকে কাশির উপসর্গ দেখা দেওয়ায় রাতে লেবার রুমে উপযুক্ত রক্ষাকবচ পরে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। পর দিন তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রবিবার রাতে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

নাইসেডের এক ল্যাব টেকনিশিয়ান শুক্রবার থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। নমুনা সংগ্রহের পরে রবিবার ওই তরুণীর করোনা-রিপোর্ট পজিটিভ হয়। তিনি এখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে।

রবিবার হাওড়া জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। সেই ঘটনায় ১২ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।

রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা না নেওয়ার ফলেই, হাসপাতাল থেকে সংক্রমণ ঘটছে। তাঁদের দাবি, কোনও রোগীকে ভর্তি করার সময় যে স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজন, তা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। তার ফলেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)