জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভবানীপুরে ভোটগণনা রবিবার। ওই দিন সকাল ৮টা থেকেই গণনা শুরু হয়ে যাবে। সকাল গড়ানোর আগেই ভোটের ফল স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই রাজনৈতিক দলগুলির আশা। তৃণমূলের দাবি, দলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন। যদিও প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির দাবি, মমতা ফের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের মতো হেরে যাবেন। শুধু ভবানীপুরে ভোটগণনা নয়, রবিবার রাজ্যের আরও দুই কেন্দ্র শমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গীপুরেও ফলপ্রকাশ হবে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৫৭.০৯ শতাংশ। অন্য দিকে, শমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে, ৭৯.৯২ এবং ৭৭.৬৩ শতাংশ।
ভবানীপুরে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণণূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে প্রায় ২৮ হাজার ভোটে পরাজিত করেন। এর পর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কৃষিমন্ত্রী হন। কিন্তু আচমকাই ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন শোভনদেব। জল্পনা তৈরি হয়, মমতাই ওই কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে দাঁড়াবেন। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যিই হয়। মমতা ভোটে দাঁড়ান ভবানীপুর থেকে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে ভোট হয়।
ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করায় আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। অন্য দিকে সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। তবে কংগ্রেস এই কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেয়নি।
অন্য দিকে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই শমসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু হয়। ফলে ওই কেন্দ্রে স্থগিত হয়ে যায় ভোট। জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও বাম প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোট স্থগিত হয়। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয় গত ২ মে। তার তার পাঁচ মাসের মাথায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হয় এই দুই কেন্দ্রে।
সমশেরগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষ। কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। এ ছাড়াও রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী মোদাসসর হোসেন। শমসেরগঞ্জে লড়াই চতুর্মুখী বলেই মনে করছেন অনেকে। জঙ্গিপুরের লড়াইয়ে আছেন তৃণমূলের প্রার্থী জাকির হোসেন, বিজেপি-র সুজিত দাস এবং আরএসপি প্রার্থী জানে আলম মিয়া। এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
দিনের শেষে কোন কেন্দ্রে কোন প্রার্থী জিতবেন, তা ভোটবাক্সই বলবে। ইভিএমে ভোট গুনতে বেশি সময় লাগবে না বলেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সকাল থেকে বেলা গণানোর আগেই স্পষ্ট হয়ে যাবে এই তিন কেন্দ্রের ফল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে