নারদ মামলায় স্বস্তি ফিরহাদ-মদন-সুব্রত-শোভনের, পেলেন অন্তবর্তী জামিন

নারদ মামলায় স্বস্তি

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: নারদ মামলায় স্বস্তি বাংলার রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে রাজ্য সরকারের। শুক্রবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ শুনানি শেষে চার হেভিওয়েট নেতাকে অন্তবর্তী জামিন দিল। এই নিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চে তিনদিন শুনানি হল মামলাটির। সোমবারের পর বৃহস্পতিবার শুনানি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার আশার কথা শোনাল আদালত। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হল রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এই জামিন হলেও এই মামলার শুনানি যেমন চলছিল তেমন চলবে।

পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে সোমবার দুপুর ১২টায়। তবে জামিনে থাকাকালীন বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে চার নেতা-মন্ত্রীর উপর। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নারদ মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবেন না তাঁরা। সঙ্গে জামিন হলে তাঁরা যে তথ্য প্রমাণ বিকৃত করতে পারে বলে দাবি করে জামিনের বিরোধিতা করছিল সিবিআই, সেদিকটাও সতর্ক করেছে আদালত। বলা হয়েছে, যেন কোনওভাবেই মামলার সঙ্গে জরিত কোনও তথ্য প্রমাণ বিকৃত করার চেষ্টা করা না হয়।

যদিও সিবিআই-এর প্রভাবশালী তথ্য এদিন আদালতে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। বরং পাল্টা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এই মর্মে যে গত চার বছর ধরে চলা মামলায় আগে গ্রেফতার কেন করা হয়নি তাঁদের? তখন যদি তথ্য প্রমাণ বিকৃত না হয়ে থাকে তাহলে এখন হওয়ার আশঙ্কা কোথায়? তখনও তো তাঁরা প্রভাবশালীই ছিলেন।

এদিকে গৃহবন্দির থাকার সময় ফিরহাদ, সুব্রত ও শোভন বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এসএসকেএম থেকে ছাড়া পাননি মদন মিত্র শারীরিক পরিস্থিতির কারণে। এদিন জামিন পেয়েও তাঁর বাড়ি ফেরা হল না। আগামীকাল মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত হবে কবে তিনি পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন। ভোটের সময় কোভিটে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তা সেরে গেলেও কোভিড পরবর্তী সমস্যাগুলো রয়েই গিয়েছে।

প্রায় দু’সপ্তাহের টানাপড়েন কিছুটা হলেও শেষ হল। চলতি মাসে হঠাৎই নারদ মামলা নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে সিবিআই। হঠাৎই হানা দিয়ে এই টার হেভিওয়েট নেতাকে তাদের দফতরে তুলে আনা হয়। সেই রাতেই দেওয়া হয় চার্জশিট। করা হয় গ্রেফতার। প্রথমেআদালত চারজনের জামিন মঞ্জুর করে দিলে রাতারাতি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। তার পর জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এবং জেলে পাঠানো হয় চারজনকে। তার পর থেকেই জামিন চেয়ে আবেদন জানানোর শুরু। যদিও ফিরহাদ হাকিম ছাড়া শারীরিক অসুস্থতার জন্য বাকি তিন নেতাই এই ক’দিন ছিলেন হাসপাতালে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)