জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিনের জমজমাট সেক্টর ফাইভ অন্ধকার নামলেই বদলে ফেলে চেহারা। নিয়মিত শ্লীলতাহানির ঘটনা শোনা যেত এক সময়। রাত গভীর হলেই সেই আতঙ্ক বেড়ে যেত অনেকটাই। তার মধ্যেই প্রতি দিন হাজার হাজার মেয়ে কাজ করতে যেত সেখানে। অনেককেই বেশ রাত পর্যন্ত কাটাতে হয় সেক্টর ফাইভের অফিসে। বেশির ভাগ অফিসই ১১টার আগে গাড়ি দেয় না। তাই যাঁরা ৮টার পর অফিস থেকে বেরোতেন তাঁরা পড়তেন বিপদে। সেখানে মেয়েদের নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ছিল যাতায়াতের সমস্যা। রাত হলেই কমে যেত গাড়ি, বাসের সংখ্যা। বাড়ি ফেরাটাই দুস্কর হয়ে যেত। এ বার মিটতে চলেছে সেই সমস্যা। সুখবর, সেক্টর ফাইভের কর্মীদের জন্য।
উল্টোডাঙা থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ বাস চলাচল। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ সংস্থা এই বিশেষ বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্টোডাঙা থেকে সেই বাস সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। এ ছাড়া বেশ কিছু বাসকে নিউ টাউন পর্যন্তও চালানো হবে। যার ফলে উপকৃত হবেনন প্রায় ৬০ হাজার কর্মী। সংস্থার এক পদস্থ কর্মী জানিয়েছেন, সেই সব বাসে সিসি টিভি তো থাকবেই সঙ্গে থাকবে প্যানিক সুইচ। যাতে মহিলাদের নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়বে। কন্ট্রোলরুম থেকে এই বাসের উপর নজরদারি রাখা হবে। এবং এই পুরো রাস্তায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হবে কমিশনারেট থেকে যে কোনও সময় যাতে বাসের তল্লাশি নেওয়া যায়। যদি কোনও সমস্যার ইঙ্গিত পান তারা।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ সংস্থা ইতিমধ্যেই রাতের বাস সার্ভিস শুরু করে দিয়েছে। যেখানে সেক্টর ফাইভ বা নিউ টাউন থেকে সেই অঞ্চলের কর্মীরা সহজেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌছতে পারেন। যেমন হাওড়া, শিয়ালদহ, চিৎপুর, এয়ারপোর্ট, করুণাময়ী, ধর্মতলা, কাঁকুড়গাছি, উল্টোডাঙা, বারাসত, ব্যারাকপুর, গড়িয়া, যাদবপুর, শ্যামবাজার, বেলগাছিয়া, পাটুলি, জোকা, বালিগঞ্জের মতো জায়গায় বাস চলছে। যা ছুঁয়ে যাবে শহরের আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে।
রোমান হরফে খুনের হুমকি পাঠায় মোমো
আইটি হাব অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতিই কল্যান কর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘‘এই পরিষেবায় আইটি কর্মীরা খুবই উপকৃত হবেন। যা ২৪X৭ চলবে। বেশির ভাগ সংস্থাই খরচ কমাতে পিক-আপ আর ড্রপ বন্ধ করে দিয়েছে। সঙ্গে কর্মীদের নিরাপত্তার চাপও থাকে। তাই পরিবহণ সংস্থা যদি এই দায়িত্ব তুলে নেয় তা হলে সেটাই হবে সব থেকে বেশি নিরাপদ। সঙ্গে পকেট ফ্রেন্ডলিও। এই বাস সার্ভিস জুড়ে দেওয়া হবে অন্যান্য রাতের সার্ভিসের সঙ্গে।’’ এমন কী দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার এই সব পরিষেবার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চাইছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যেখানে সংস্থাগুলো স্মার্ট কার্ড দিয়ে দেবে কর্মীদের চুক্তিবদ্ধ বাসের। এর সঙ্গে অটো অপারেটর্স ইউনিয়নও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইছে।