জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Horse in local train, ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে লোকাল ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন গফুর আলি মোল্লা। সঙ্গে পোষ্য ঘোড়া। ভিড়ঠাসা ট্রেনে যাত্রীদের গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ভাবেই কয়েকটি স্টেশন ট্রেনে চেপে বাড়ি পৌঁছেছিলেন গফুর। ঘোড়াকে ট্রেন চড়িয়ে তাঁকে যে গ্রেফতার হতে হবে, তা ভাবেননি তিনি। শুক্রবার ওই অপরাধে গফুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রেলের আইন বলছে, এ ভাবে জন্তু জানোয়ার যাত্রিবাহী ট্রেনে তোলা যায় না। তার নিয়মকানুন আছে। আগে থেকে বুক করে তবেই ট্রেনে জন্তু জানোয়ার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। তা-ও আবার মালগাড়িতে। একমাত্র বেড়াল এবং কুকুর এসি ফার্স্ট ক্লাসে আগে থেকে বুক করে খাঁচায় করে নিয়ে যাওয়া যায়।
কিন্তু গফুর সে সব নিয়ম জানতেন না। ফলে গতকাল রাতে তিনি বারুইপুরের একটি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে ফেরার সময় দক্ষিণ দুর্গাপুর স্টেশন থেকে ডাউন ডায়মন্ড হারপার লোকালে ওঠেন। বেশ কয়েকটি স্টেশন পেরিয়ে পোষ্য ঘোড়া সমেত নামেন নেতড়ায়।
যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা ওই ব্যক্তিকে ঘোড়া নিয়ে ট্রেনে উঠতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি। ফলে ভিড় ট্রেনে যাত্রীদের সঙ্গে ঠাসাঠাসি করে প্রায় ২৩ কিলোমিটার সফর করে ঘোড়াটি। তা বিশেষ পছন্দ হয়নি যাত্রীদের। রেলের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এর পরেই শুক্রবার গফুর আলি মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। তবে তিনি রেলের এই নিয়ম জানতেন না বলে জানিয়েছেন। গফুর পুলিশকে বলেন, ‘‘ট্রেনে ঘোড়া নিয়ে ওঠা যায় না, তা আমি একেবারেই জানতাম না। বারুইপুরে ঘোড়দৌড় শেষে বাড়ি ফেরার জন্য রাতে ট্রেনে চাপি। ও কাউকে বিরক্তও করেনি। কারও কোনও অসুবিধাও হয়নি।’’
এ ব্যাপারে পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ট্রেনে এ ভাবে জন্তু জানোয়ার নিয়ে ওঠা যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রেল আইনের ১৪৫, ১৪৭ এবং ১৫১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তারই ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)