হুমায়ুন কবীর সাত দলের জল খেয়ে অবশেষে এ বার বিজেপিতে

হুমায়ুন কবীরহুমায়ুন কবীর

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হুমায়ুন কবীর, রাজনৈতিক ভাবে রঙিন এক চরিত্র। রঙিন কেন? কারণ, তিনি জীবনে বহু বার রাজনৈতিক রং বদল করেছেন।

প্রথমে ছিলেন কংগ্রেস। রাজ্যে পালাবদলের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এবং রাজ্যের মন্ত্রী পদেও বসেছিলেন হুমায়ুন কবীর। এর পর তৃণমূল ছেড়ে তিনি সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। কিছু দিন পর ফের হুমায়ুন কবীর কংগ্রেস ফিরে আসেন। সোমবার সেই হুমায়ুন কবীরই দিল্লিতে বিজেপি-তে যোগ দিলেন।

হুমায়ুন কবীরের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিন আরও চমক তৈরি করে কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করলেন, আগামী মাসে অর্থাৎ জুলাইতেই এ রকম আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাঁর দাবি, সেই মানুষগুলোকে বিজেপিতে আসতে দেখে তৃণমূলনেত্রীর হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে! কিন্তু, কারা তাঁরা? এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে দিলীপবাবু জানিয়েছেন, সময় হলেই সব জানা যাবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, পুরনো তৃণমূল কর্মীরা দুঃখে আছেন। তাঁদের অনেকেই বিজেপি-তে যোগ দিতে চান। শুধু নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাঁরা চিন্তিত বলেই বিজেপিতে আসতে পারছেন না এখনও।

শিশুদের আচরণগত সমস্যা এই সময়ের একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

হুমায়ুন যে বিজেপি-তে যোগ দেবেন, তা বেশ কিছু দিন আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। অবশেষে সোমবার বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের উপস্থিতিতে হুমায়ুন তাঁদের দলে যোগ দেন। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস হয়ে বিজেপি-তে এলেন হুমায়ুন কবীর। কিন্তু কেন হুমায়ুন বিজেপিতে এলেন? তিনি জানিয়েছেন, আগামী জুলাইতে রেজিনগরে বিজেপি-র সভা হবে। সেখানেই তিনি যা জানানোর জানাবেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে তাঁকে বিজেপিতে আসতে হবে।

এর মধ্যেই আগামী কাল বুধবার বাংলা সফরে আসছেন বিজেরি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ওই দিন তাঁর কর্মসূচি মূলত কলকাতায়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৮ জুন তিনি পুরুলিয়া যাচ্ছেন। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ভোটের আগে ও পরে যে তিন জন বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে পুরুলিয়া জেলায়, অমিত শাহ তাঁদের বাড়ি যাবেন। তাঁদের পরিজনদের সঙ্গেও দেখা করার কথা জানা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানা যায়, অমিত শাহ পুরুলিয়ায় যাবেন। একটি জায়গায় সভাও করবেন। কিন্তু, বলরামপুর-সহ ওই সব মৃতকর্মীদের বাড়িতে তিনি আর যাবেন না।