জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পুজো কমিটিগুলোকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেই টাকা বেশ কিছু পুজো কমিটি পেয়েও গিয়েছে। কিন্তু, সরকারি টাকা এ ভাবে দেওয়া যায় কি না প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় একটি সংগঠন। শুক্রবার হাইকোর্ট পুজো কমিটিগুলোকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সরকারি ওই সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতার দুর্গাপুজোর আয়োজক কমিটিগুলোর সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের ২৮ হাজার পুজো কমিটিগুলোকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে সরকার। ওই ২৮ হাজারের মধ্যে কলকাতারই তিন হাজার পুজো কমিটি ছিল। এ ছাড়া রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এবং সিইএসসি যাতে পুজো কমিটিগুলির জন্য বিদ্যুতের মাশুলে ছাড় দেয়, সেই নির্দেশও দেন তিনি।
কিন্তু এ ভাবে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকার অনুদান দিতে পারে কি? জনগণের করের টাকা এ ভাবে খরচা করা যায় কি না সেই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিল একটি শ্রমিক সংগঠন। প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে ওই আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই যাতে একটি জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করা হয়েছিল। আবেদনে সাড়া দিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এ দিন সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশে আপাতত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় রেল: ট্রেন থেকে যাত্রীদের ব্যাগে করে উধাও তোয়ালে, চাদর, বালিশ
এ দিন আদালত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, কোন সরকারি গাইডলাইনের ভিত্তিতে ওই অনুদান দেওয়া হবে? পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়, অন্য কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কি এ ভাবে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়? এমনকি দেওয়া ওই টাকা কী ভাবে খরচ হবে, তার নজরদারি কে করবে? অনুদানের সব টাকা খরচ না হলে তা ফেরতের কি কোনও ব্যবস্থা থাকছে?
আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে গোটাটাই হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য যদিও এ দিন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বারই রাজ্যের ‘দেনা চিত্র’ তুলে ধরেন। এমনকি রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-ও অথৈ জলে। সেই সরকার বার বার এত কোটি কোটি টাকার ক্লাব-খয়রাতি করে কী করে?