যাদবপুর ইস্যু নিয়ে ইস্তফা দিতে পারেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, দেখা করতে চাইছেন আচার্যের সঙ্গে

যাদবপুর ইস্যুসুরঞ্জন দাস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: যাদবপুর ইস্যু নিয়ে শেষমেশ কি ইস্তফার রাস্তাতেই হাঁটতে চলেছেন উপাচার্য? বৃহস্পতিবার কিন্তু এমন জল্পনার আগুনেই ঘি ঢেলে দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

ওই দিন তিনি রাজভবনে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন জানিয়েছেন। রাজভবন সূত্রে খবর, উপাচার্য চিঠিতে কেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চান, সে কথাও জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মুহূর্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে সবিস্তার জানাতে চান। কেশরীনাথ যদিও তাঁর সঙ্গে কবে দেখা করবেন, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

তবে কি আচার্যের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ইস্তফাপত্রই তুলে দিতে চান সুরঞ্জন? উপাচার্য কিন্তু বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বরং একটু ধোঁয়াশা রেখে জবাব দিয়েছেন, আগে আচার্যের সঙ্গে দেখা হোক!

সরগরম কলকাতা ময়দান, জনির পর আসছেন রবিনহো!

প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। গত ৯ জুন প্রবেশিকা পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। কিন্তু ১৫ জুন কর্মসমিতিতে প্রবেশিকা পরীক্ষার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন অনেকে। পরে ২৭ জুন অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ মেনে আলোচনায় বসেন কর্তৃপক্ষ। বহাল থাকে প্রবেশিকা পরীক্ষা। পরীক্ষার দিন বদল। কিন্তু, ৪ জুলাই ফের প্রবেশিকা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। এর পরেই ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নামে। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষকশিক্ষিকাদের একাংশ। ১০ জুলাই ফের কর্মসমিতির বৈঠক বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রবেশিকা পরীক্ষা থাকবে।

রাজভবন সূত্রে খবর, উপাচার্য সুরঞ্জন দাস চিঠিতে কেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করতে চান, সে কথাও জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মুহূর্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে সবিস্তার জানাতে চান।

কিন্তু, কর্মসমিতির সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য। তাঁরা ওই প্রস্তাবের সঙ্গে নিজেদের জড়াতে চাননি। বৈঠকের বিবরণীতে বলা হয়, ‘নট পার্টি টু দ্য রেজোলিউশন’। কর্মসমিতির বেশির ভাগ সদস্যই পরীক্ষার পক্ষে মত দেন। প্রবেশিকার সিদ্ধান্তের পরে সেটি নিশ্চিত করার জন্য উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে অনুরোধ করা হয়। সিদ্ধান্তের পক্ষে না থাকলেও তাতে সই করতে বাধ্য হন সুরঞ্জনবাবু।

এর পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, সুরঞ্জনবাবু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন। আচার্যের সঙ্গে দেখা করার আবেদনে সেই জল্পনায় ঘি পড়ে।