জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে বুধবার থেকে। এক সপ্তাহ আগে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সরকার ও রেল দফতরের বৈঠকে। করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে গত প্রায় সাড়ে সাত মাস ধরে বন্ধ ছিল শহর ও শহরতলীকে সচল রাখা এই লোকাল ট্রেন। যার উপর নির্ভর করে প্রচুর মানুষের রুটি রুজি। দাবি উঠছিল অনেকদিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেল লোকাল ট্রেন চালানোর।
১১ নভেম্বরকে লোকাল ট্রেন আবার চালানোর দিন হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে। হাতে এক সপ্তাহ সময় তার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পড়ে থাকা লাইন থেকে সিগনাল ব্যবস্থাসহ যাবতীয় খতিয়ে দেখতে হবে নিরাপত্তার কারণে। বৃহস্পতিবার ট্রেন চালানো নিয়ে বৈঠকের পর ১৮১ জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আপাতত।
ইতিমধ্যেই কলকাতায় চালু হয়েছে মেট্রো। যাবতীয় নিয়ম মেনে চলছে মেট্রো সার্ভিস। চলছে দূর পাল্লার ট্রেনও। বাস, ট্যাক্সি, অটো অনেক দিন ধরেই সচল। শুধু বাকি ছিল লোকাল ট্রেন।
এদিন আলোচনায় ১৮১ জোড়া ট্রেনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেহেতু শিয়ালদহ ডিভিশনে যাত্রী সংখ্যা সব থেকে বেশি সে কারণে সেখানেই সব থেকে বেশি ট্রেন দেওয়া হয়েছে। ১৮১ জোড়ার মধ্যে ১১৪ জোড়া ট্রেনই চলবে শিয়ালদহ শাখায়।
এ ছাড়া হাওড়া ডিভিশনে চলবে ৫০ জোড়া ট্রেন। কিছু ট্রেন চলবে খড়গপুর শাখায়। পুরনো সময়সূচি মেনেই চলবে সেই ট্রেন। তবে চিন্তা একটা থাকছেই। এত কম ট্রেন চালিয়ে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা যাবে কিনা। ট্রেন চলাচল শুরু হলে প্রচুর মানুষ রাস্তায় নামবে রুটি-রুজির কারণে। আদৌ সব নিয়ম মানা সম্ভব হবে কিনা।
সম্প্রতি বার বারই দেখা গিয়েছে রেলের বিশেষ ট্রেন স্টাফ স্পেশালে উঠতে চেয়ে সাধারণ যাত্রীরা অবরোধও পর্যন্ত করেছে। রেলের কর্মীদের জন্য বিশেষ ট্রেনেও জোর জবরদস্তি উঠে পড়েন যাত্রীরা। তাতেই শুরু হয়েছিল সমস্যা।
তবে এখনও নিশ্চিত নয় কী পদ্ধতিতে লোকাল ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। টিকিট থেকে ট্রেন ওঠা-নামা এমন কী দাঁড়ানো বা বসা, কী নিয়মে হবে সব তা নিয়ে এই এক সপ্তাহে কোনও সিদ্ধান্তে আসবে রাজ্য। তবে লোকাল ট্রেনে সেই সব নিয়ম মানা কতটা সম্ভব হবে সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। তবে কোভিড-১৯ পবরর্তী সময়ে ফিরছে কলকাতা শহর তথা শহরতলীর গতি এটাই স্বস্তি প্রচুর মানুষের কাছে।
(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)