জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল জয় প্রত্যাশিতই ছিল। তবে তা যে সব রেকর্ড ভেঙে দেবে তা কে জানত। ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি, সেখানে জয়ের ব্যবধানেও নিজেরই রেকর্ড ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাঁড়াতেই পারলেন না বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। ২০১১ সালে রেকর্ড ভোটে জিতে বাংলায় রাজত্ব কায়েম করেছিলেন আর এবার সেই রেকর্ডকেও ভেঙে দিলেন তিনি। গননার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন। তার পর শুধুই এগিয়েছেন। পিছিয়ে পড়ার কোনও অবকাশই ছিল না। দুপুর ২ টো নাগাদ জয় নিশ্চিত হতেই বেরিয়ে আসেন বাড়ির বাইরে। ততক্ষণে ভবানীপুর জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। কালীঘাটের বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন সদস্য সমর্থকেরা।
এবার আর ভিকট্রি সাইন দেখালেন না। বরং দেখালেন তিন আঙুল। কেন, তা নিজেই খোলসা করলেন। এই একই দিনে আরও দুই জায়গায় ছিল ভোট। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও প্রথম থেকেই এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এদিন তিনটি কেন্দ্রে ভোট ছিল আর সেটাকে উদ্দেশ্য করেই তাঁর এইঈ তিন আঙুল প্রদর্শন।
জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভবানীপুরে সব ভাষাভাষির মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। আমরা কোনও ওয়ার্ডেই হারিনি এবার। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম-বেশি ভোট পেয়েছি কিন্তু হারিনি।’’ যা খবর তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট পেয়েচেন ৮৪,৭০৯। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬,৩২০ ভোট। যার ফলে ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৫৮,৮৩২। যা ২০১১ হোক বা ২০১৬—সব কিছুকেই ছাঁপিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে প্রাপ্ত ভোটও। শুনুন জয়ের পর কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—
এই কেন্দ্রে প্রথমে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষ। সেখানে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ২৮ হাজারের কিছু বেশি। এই বিপুল জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরের মানুষদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি। এদিকে হেরে ভবানীপুরে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে নিলেন প্রিয়ঙ্কা। অভিযোগ করলেন ছাপ্পা ভোটের।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)