নিউটাউনে আইনজীবী খুনে দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী অনিন্দিতা, সাজা ঘোষণা বুধবার

রজত দে হত্যা মামলা

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: নিউটাউনে আইনজীবী খুনে দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী অনিন্দিতা দে। বারাসতের তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত আগামী পরশু, বুধবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করবে।

২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় আইনজীবী রজত দে-র। স্ত্রী অনিন্দিতাকে নিয়ে তিনি ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ২০১৬ সালে রজতের সঙ্গে অনিন্দিতার বিয়ে হয়। নিজেরা পছন্দ করেই বিয়ে করেছিলেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই ঘটনার পরে রজতের স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিজনেরা। এর পরেই তদন্তে গতি পায়।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রজতের স্ত্রী অনিন্দিতা-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়। তদন্তকারীদের ধন্দ আরও বেড়ে যায় রজতের স্ত্রী অনিন্দিতার বয়ানে। প্রাথমিক ভাবে অনিন্দিতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন যে বয়ান দিয়েছিলেন, তাতে পুলিশের ধারণা হয়েছিল, আচমকা অসুস্থ হয়েও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে রজতের। কিন্তু অনিন্দিতার সঙ্গে পরিবারের বাকিদের বয়ানে বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। পরের জিজ্ঞাসাবাদে অনিন্দিতার বয়ানে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। প্রথমে অনিন্দিতা জানিয়েছিলেন, রজত ও তিনি ওই দিন রাতে বাইরে খাওয়াদাওয়া করতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনি ঘুমোতে যান। রজত তখন পাশের ঘরে ছিলেন। রাতে লোডশেডিং হয়। ফের বিদ্যুৎ এলে অনিন্দিতা পাশের ঘরে গিয়ে দেখেন, তাঁর স্বামী অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন। কিন্তু পরে অনিন্দিতা দাবি করেন, রজত আত্মহত্যা করেছেন। অনিন্দিতা নাকি তাঁকে বিছানার চাদর গলায় পেঁচানো অবস্থায় দেখেছেন।

কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রজতের শরীরে রহস্যজনক ক্ষতের চিহ্ন মেলে। তার পরেই পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করে। আর সেই তদন্তে নেমেই পুলিশ অনিন্দিতার রহস্যজনক ভূমিকা জানতে পারে। তদন্তে জানা যায়, খুনের দিন রাতে অনিন্দিতা ফেসবুকে একটি স্টেটাস পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ম্যারেজ ইজ আ পাবলিক টয়লেট’। শুধু তাই নয়, রজতকে কুনের আগে অনিন্দিতা গুগলে সার্চ করেছিলেন, ‘লিগেচার মেটেরিয়াল’। অর্থাৎ গলায় কী কী দিয়ে ফাঁস দিয়ে খুন করা যায়, সেটাই খুঁজছিলেন। এর পর মোবাইলের চার্জার গলায় জড়িয়ে রজতকে খুন করা হয় বলে আদালতে তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়। নিউটাউনে আইনজীবী খুনে দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী অনিন্দিতা দে। এ দিন বারাসতের তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচারক সুজিতকুমার ঝা ওই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অনিন্দিতাকে খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)