জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নির্মল হাস্যরস বলাই যায়। কিন্তু যিনি বলেছেন, তিনি মোটেও মজা করেননি। খুব গম্ভীর ভাবে বক্তৃতার মধ্যেই বাক্যটা বলেছিলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ থেকেই রোনাল্ড রস। তিনি এখান থেকে এমডি করেছেন।’’ শুনে তো ইতিহাস মাথায় ওঠার জোগাড় সকলের! কেউই মনে করতে পারছেন না, রোনাল্ড রস কবে মেডিক্যাল কলেজে এমডি করলেন!
কিন্তু যিনি বললেন, তিনি মোটেই সাধারণ নন। মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র। শুধু তাই নয়, তিনি ওই কলেজেরই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। নির্মল হাস্যরস বলাই যায়, কারণ যাঁর এ হেন কথা শুনে এমন হাসির রসে মজে গেলেন সকলে, তাঁর নাম নির্মল মাজি! হাসির কথা শুনলে পরে সকলে তো আর বলতে পারেন না, হাসব না না না না…
বাংলার সব খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে…
এর আগেও নির্মল এমন হাস্যরস পরিবেশন করেছেন। সে বার অর্থাৎ গত জানুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও। সে বারও বাংলা হেসেছিল। শুধু বাংলা কেন, ডিরোজিও-ও কি হাসেননি? ঠিক যেমন করে এ বার হাসতে দেখা গেল রোনাল্ড রসকে!
রোনাল্ড রসের আগে যদিও আর এক জন হেসেছিলেন। তিনি বিধানচন্দ্র রায়। সোমবার তো তাঁর মূর্তি উদ্বোধন করতেই গিয়েছিলেন নির্মল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষেই এ দিন পালিত হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে তাঁর ১২ ফুটের মূর্তি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল। চিকিৎসক দিবস তো তাঁর জন্মদিন উপলক্ষেই। একই সঙ্গে হাসপাতালের সেন্ট্রাল পার্কে চিকিৎসক নীলরতন সরকার, রাধাগোবিন্দ কর, উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী ও স্যর রোনাল্ড রসের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনের কর্মসূচি ছিল। খালি গলায় নির্মল ভাষণ দিতে গিয়ে যা বললেন, তাতে সকলেই হতবাক!
পুরনো চিকিৎসকদের কেউই মনে করতে পারেননি, রোনাল্ড রস কবে এই কলেজ থেকে পড়াশোনা করলেন! তাঁর পড়াশোনার সবটাই লন্ডনে। পরে তিনি মেডিক্যাল সার্ভিসে যোগ দেন। সেই সময় ভারতে আসেন। কিন্তু কাজের সূত্রে তিনি কাজ করেছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তখনকার দিনে প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতালে। মেডিক্যাল কলেজ নয়।
ইতিহাস যা বলে বলুক, নির্মল হাস্যরস তো কারও কোনও ক্ষতি করে না। তবে তার অসুবিধা একটাই— ইতিহাসটা বড্ড বিকৃত হয়ে যায়। আর নির্মল মাজি সেই পরম্পরাটাই বজায় রাখার চেষ্টা করছেন হয়তো। তাই ডিরোজিওর পর রোনাল্ড রস— নির্মল হাস্যরস পরিবেশিত হয়েই যাচ্ছে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)