বড়দিনেই চলে গেলেন কলকাতার যিশুর স্রষ্টা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীনীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মারা গেলেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে নীরেন্দ্রনাথের বয়স হয়েছিল ৯৪।

বেশ কিছু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভর্তি করা হয়েছিল আর এন টেগোর হাসপাতালে। সেখানেই এ দিন দুপুরে মৃত্যু হয় নীরেন্দ্রনাথের। তাঁৱ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে বাংলা সাহিত্য জগতে। কবি, সাহিত্যিক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেন।

বিকেল সাড়ে চারটে থেকে নীরেন্দ্রনাথবাবুর দেহ শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা ছিল রবীন্দ্র সদনে। সেখানে এসে কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। আসেন কবি শঙ্খ ঘোষ-সহ নীরেন্দ্রনাথের অসংখ্য গুণমুগ্ধ। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে। সেখান থেকে ৭টা নাগাদ কবির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে। সেখানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

রাত জাগা তারা: শীতের ভোরকে বরণ করে উৎসবের আবাহন কলকাতায়

১৯২৪ সালের ১৯ অক্টোবর অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মেছিলেন নীরেন্দ্রনাথ। পরে কলকাতায় চলে এসে ভর্তি হন মিত্র ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে বঙ্গবাসী এবং সেন্ট পলস কলেজে পড়াশোনা। দীর্ঘ দিন কলকাতার প্রথম শ্রেণির বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেছেন। সামলেছেন সেই গোষ্ঠীর পত্রিকা আনন্দমেলা-ও। সম্পাদক হিসাবে তিনি ছোটদের জন্য এমন এমন উপহার তুলে দিয়েছেন, সেই সময়ের ছোটরা এখন বড়বেলাতেও সে সব নিয়ে আলোচনা করে।

বাংলা ভাষা এবং বানানবিধি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন নীরেন্দ্রনাথ। তাঁর ‘বাংলা কী লিখবেন, কেন লিখবেন’ বহুল পঠিত এবং সম্পাদনার কাজে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ বই।

আনন্দ পুরস্কারের পাশাপাশি পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। একটা দীর্ঘ সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি পদে ছিলেন।

কবি রেখে গেলেন তাঁর দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে।

বেশ কিছু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভর্তি করা হয়েছিল আর এন টেগোর হাসপাতালে। সেখানেই এ দিন দুপুরে মৃত্যু হয় নীরেন্দ্রনাথের। তাঁৱ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে বাংলা সাহিত্য জগতে। কবি, সাহিত্যিক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেন।