জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি রাহুল গান্ধীর, বার্তা এল সমর্থনের। আগামী কাল শনিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের মহাসভা। উপলক্ষ, দেশ জুড়ে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির হাত একত্রিত করা। তৃণমূলের সেই ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি’র প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। চিঠিতে ‘মমতাদি’ সম্বোধন করে বিষয়টির মধ্যে রাহুল ব্যক্তিগত ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই ব্যাখ্যা।
তৃণমূল চেয়ার পার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা ওই চিঠিতেও রাহুল গান্ধী সমালোচনা করেছেন মোদী যুগের। তিনি লিখছেন, দেশ জুড়ে ক্ষমতাশালী শক্তিধর বাহিনী রয়েছে। মোদী সরকারের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি এবং মিথ্যাচারে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। কোটি কোটি সেই মানুষই আশা জোগাচ্ছেন ওই শক্তিকে। তারা নতুন আগামীর স্বপ্নও দেখছে। সেই আগামীতে এমন এক ভারতের ভাবনা রয়েছে, যেখানে দেশের সব নারী, পুরুষ এবং শিশুর কথা শোনা হবে। জানানো হবে সম্মান। বিবেচ্য হবে না, তাদের ধর্ম, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বা আঞ্চলিক অবস্থান।
এর পরেই রাহুল লিখছেন, সমস্ত বিরোধীরা একজোট হয়ে এই ভাবনায় বিশ্বাসী। কোন ভাবনা? সেটাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি লিখছেন, সত্যিকারের উন্নয়ন এবং জাতীয়তাবাদ সুরক্ষিত থাকতে পারে গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায় এবং ধর্মনিরপেক্ষতার স্তম্ভে। রাহুলের মতে সেই স্তম্ভই আসলে ধ্বংস করে ফেলছেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি।
রাহুল এই প্রসঙ্গে বাঙালিদের প্রশংসাও করেছেন। তাঁর লেখায় রয়েছে, বিভিন্ন ভাবনা নিয়ে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসার জন্য দেশবাসীর কাছে বাঙালিরা ঐতিহাসিক ভাবেই অগ্রদূত। এর পরেই রাহুল লিখছেন, মমতাদির এই ‘শো অব ইউনিটি’কে সমর্থন জানাই। একত্রিত ভারতকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে ওই মঞ্চ থেকে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছবে দেশবাসীর কাছে।
শনিবারের ব্রিগেড সভার জন্য দেশের বেশির ভাগ শক্তিশালী আঞ্চলিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কংগ্রেসকেও। ব্যক্তিগত ভাবে মমতা চেয়েছিলেন, ব্রিগেডে যেন সনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকেন। কিন্তু, সনিয়া অসুস্থতার কারণে থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আসছেন না রাহুলও।
Congress President @RahulGandhi writes to @MamataOfficial to extend his support & send a powerful message of a united India. pic.twitter.com/bf9taiTxle
— Congress (@INCIndia) January 18, 2019
পরিবর্তে দলের প্রতিনিধি হিসাবে মমতার সভায় উপস্থিত থাকবেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তবে রাহুলের এই চিঠির অন্য মানে খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সনিয়া-রাহুল না আসায় সর্বভারতীয় স্তরে কোনও অনৈক্যের বার্তা যাতে না যায় সে কারণেই কংগ্রেস সভাপতি এই চিঠি দিয়েছেন।
কারণ যাই হোক না কেন, তাঁকে ব্যক্তিগত ‘মমতাদি’ সম্বোধন করে কংগ্রেস সভাপতি চিঠি লেখায় স্বভাবতই খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো।
(রাজ্যের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)