শীতলকুচি গুলি-কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট ৫ মে-র মধ্যে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

শীতলকুচি গুলি-কাণ্ডের তদন্ত

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: শীতলকুচি গুলি-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি। শনিবারই রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট। চতুর্থ দফার ভোট চলার সময় শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের কাছে সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর। তার পরই বন্ধ হয়ে যায় সেখানকার ভোট। শুরু হয় দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা। কিন্তু এলাকাজুড়ে চাপা উত্তেজনা এখনও রয়েছে। একই দিনে অন্য বুথেও গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল আর এক জনের, এই শীতলকুচিতেই। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম।

রাজ্যের তরফে তদন্তের কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্ত করবে কমিশনও। সিআইডির হাতে তদন্তের দায়িত্ব যাওয়ার পর থেকেই কাজে নেমে পড়েছে এই তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। দ্রুত যাবতীয় নথি সংগ্রহ করে তদন্তে নামতে চাইছে সিআইডি। ঘটনা স্থলেও যাবেন তদন্তকারী দলের অফিসাররা।

কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৫ মে-র মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে। কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফিরদৌস শামিম নামে এক ব্যাক্তি এই জনস্বার্থ মামলা করেন। শুক্রবার শুনানিতে জানা যায় রাজ্য সরকারের তরফে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডি-র হাতে তুলে দিতে চায় রাজ্য সরকার। সেই মতো রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট।

বলা হচ্ছে ১০ এপ্রিল আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় ওই চার জনের। তার ঠিক চারদিন পর একটি ভিডিও সামনে উঠে এসেছে সেই দিনের ঘটনার। যদিও জাস্ট দুনিয়া সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে ওই ভিডিওতে যে দৃশ্য, যে আর্ত্যনাদ ভেসে উঠেছে তা লেখা থাকবে বাংলার ভোটের ইতিহাসে।

সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মানুষের ছোটাছুটি। লাঠি হাতে মানুষের ঘোরাঘুরি। কিছুক্ষণের মধ্যেই শোনা যায় গুলির আওয়াজ, রক্তাক্ত দেহ আর তারপরই শীতলকুচির আকাশ-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে যন্ত্রণার অজস্র ছবি। কান্নায় ভেঙে পড়া পরিজনদের হাহাকার। বন্ধ হয়ে যায় কোচবিহারের ওই কেন্দ্রের ভোট। তিন দিন সেখানে নেতা-নেত্রীর ঢোকা নিষিদ্ধ করে কমিশন।

দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা আজও চলছে। চতুর্থ পর্যায়ের ভোট হয়ে গিয়েছে। চতুর্থ পর্যায়েই ভোট ছিল শীতলকুচিতে। ১২৬ নম্বর বুথে ভোটারের সংখ্যা ৯০০, বেশিরভাগই মুসলিম।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)