জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: যেমন ভাত-ডাল, শোভনদা-বৈশাখীদি সে রকমই, বললেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার এই মন্তব্য যখন করেন, তাঁর কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সদ্য দলে আসা ওই দু’জন অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আগে থেকেই ঠিক ছিল, এ দিন দুপুর দুটো নাগাদ ওই দু’জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই ঘোষণাপত্রে বৈশাখীর নাম ছিল না। এর পরেই সংবর্ধনায় আসবেন না বলে ‘বেঁকে’ বসেন বৈশাখী। দিল্লিতেও বিষয়টি ফোন করে জানানো হয়। এর পর রাজ্য বিজেপি ওই ঘোষণাপত্রে সংশোধন করবে বলে জানায়। সেটি করাও হয়। কিন্তু, তাতে বৈশাখীর ক্ষোভ কমেনি। যদিও প্রথমে আসবেন না বলেও পরে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তবে সারা ক্ষণ তাঁকে ক্ষুব্ধ মুখেই দেখা গিয়েছে বলে অনেকের মনে হয়েছে।
বাংলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে
তবে শোভন-বৈশাখী আসার আগেই এ দিন ওই ‘না আসা’ এবং ঘোষণাপত্রে বৈশাখীর ‘নাম না থাকা’ নিয়ে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি আসতে বলেছি সবাইকে। সবার তো নাম দিই না আমরা। শোভনদা মেয়র ছিলেন, এখনও বিধায়ক আছেন। তাই তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। তবে, ওঁর নামও দেওয়া উচিত ছিল। আমরা জানি, যেমন ভাত-ডাল সে রকম শোভনদা আর বৈশাখীদি। আলাদা করে বলার কী আছে!’’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান দুটোর সময় থাকলেও প্রায় সাড়ে তিনটের সময় শোভন-বৈশাখী রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে এসে হাজিন হন। তাঁদের নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। সেখানে দু’জনের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেওয়া হয়। এর পর ফের ভাত-ডাল প্রসঙ্গ উঠতে দিলীপ ঘোষকে হাসতে দেখা যায়। বৈশাখী বলেন, ‘‘কে ডাল, কে ভাত জানি না। আমি ডাল হলে বলব, আমার নিজস্ব জগতে আলাদা পরিচিতি আছে। আর আমি ভাত হলে বলব, শোভনদাকে কাঁধে বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো জোর আমার নেই।’’ শোভন যদিও বলেন, ‘‘দিলীপদা জানেন, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমি পরস্পররের পরিপূরক। তবে আমাদের যাঁর যাঁর নিজস্ব ক্ষেত্রে পরিচিতি আছে।’’
দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিও…
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)