ইয়াস আতঙ্ক কাটিয়ে টর্নেডো নিয়ে তটস্থ শহরতলীর মানুষরা

ইয়াস আতঙ্ক—প্রতীকী ছবি

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইয়াস আতঙ্ক থাকল‌েও তেমনভাবে শহর ও শহরতলীতে প্রভাব ফেলতে পারেনি এই ঘূর্ণিঝড়। বৃষ্টি, হালকা ঝড়ের উপর দিয়েই কাটছে গত দু’দিন। বুধবার ইয়াস ওড়িশায় আছড়ে পড়লেও বাংলার উপকবলে তার ব্যপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে দীঘা, সুন্দরবনের মতো অঞ্চলগুলো বিপুলভাবে প্লাবিত হয়েছে। সেই তুলনায় কিছুই হয়নি কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে। তবে অন্য আতঙ্ক এবার এই সব জায়গায়। ইতিমধ্যেই ইয়াস গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার জেরে চলছে প্রবল বৃষ্টি। কখনও আবার মেঘ কেটে রোদও উঠছে। সঙ্গে কিছুটা উল্টোপাল্টা হাওয়াও রয়েছে। তার মধ্যেই টর্নেডোর হানা চঅশোকনগরে।

এ এক অদ্ভুত টর্নেডো দেখা দিচ্ছে। খুবই ছোট আকাড়ে। এখনও তাতে প্রাণহানী না হলেও সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন এই একই দৃশ্য দেখা গেল বাংলায়। বৃহস্পতিবার অশোকনগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ড এবং গুমার কিছু অংশে হঠাৎই শুরু হয় এই ঝড়।

সকাল তখন ১০.১৫-র আশপাশে হবে। হঠাৎই অন্ধকার নেমে আসে এলাকায়। শুরু হয় ঝড়। আর সেই ঝোড়ো হাওয়ায় নিমেশের মধ্যে উড়ে যেতে থাকে একের পর এক বাড়ির টিনের চাল। যার ফলে মুহূর্তের মধ্যে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন অনেক মানুষ। শোনা যাচ্ছে প্রায় ২০-৩০টি বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে এই ঝড়ে।

এই এলাকায় এমন ঝড়ের প্রস্তুতি ছিল না। আবহাওয়াও ভালই ছিল। যে কারণে সকলে বাড়িতেই স্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এই টর্নেডোর আগমনে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। কেন এমনটা হচ্ছে তার এখনও কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। কেউ মনে করছেন ইয়াসেরই প্রভাবে এই ঝড়। আর অনেকের ধারণা ইয়াসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।

তবে আসল বিষয় এটা জানা কেন এই ঝড়, যা খুবই ছোট অংশ জুড়ে হচ্ছে এবং যার কোনও আগাম সতর্কতা থাকছে না। যার ফলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। এই ঝড়ই যদি আগাম সতর্কতা ছাড়া বড় আকাড় নেয় তাহলে আরও বড় ক্ষতি হতে পারে। গত সোমবার চুণচুড়া ও হালিশহরে একই ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যুও হয়েছে দু’জনের। আবার কোথায় হানা দেবে এই অযাচিত ঘূর্ণিঝড় সেই আশঙ্কাতেই ভুগছে শহরতলী।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)