জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ৪ আসনেই জয় তৃণমূলের, তার মধ্যে ৩ কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর রাজ্যের ৪ আসনে উপনির্বাচন হয়— কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। মঙ্গলবার ওই ৪ কেন্দ্রে ভোটগণনা ছিল। সেই ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল ৪ আসনেই জয় তৃণমূলের হয়েছে। বিজেপি সর্বত্র দ্বিতীয় স্থানে। তবে প্রথমের সঙ্গে দ্বিতীয়ের প্রাপ্ত ভোটের হারে ব্যবধান অনেকটাই। ৬ মাস আগে এই চার কেন্দ্রেই ভোট হয়। সেই সময় দিনহাটায় জিতেছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। তিনি তৃণমূল প্রার্থীকে ৫৭ ভোটে হারিয়েছিলেন।
কোচবিহারের সাংসদ পদ ধরে রাখতে গিয়ে নিশীথকে ছাড়তে হয় দিনহাটার বিধায়ক পদ। সে কারণেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, যাঁকে হারিয়েছিলেন নিশীথ, তৃণমূলের সেই উদয়ন গুহ রেকর্ড ভোটে জিতেছেন। ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯ ভোটে তিনি হারিয়েছেন বিজেপির অশোক মণ্ডলকে। শান্তিপুর আসনে ৬ মাস আগে ১৫ হাজার ৮৭৮ ভোটে জিতেছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সাংসদ পদ ধরে রাখতে তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। ফলে সেখানে উপনির্বাচন হয়। এ বারের উপনির্বাচনে ৬৪ হাজার ৬৭৫ ভোটে সেখানে জিতেছেন তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী।
খড়দহে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন তৃণমূলের কাজল সিন্হা। কিন্তু ফলপ্রকাশের আগেই করোনা-আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে খড়দহে উপনির্বাচন। আর সেই উপনির্বাচনে ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। একই ভাবে গোসাবাতেও জিতেছে তৃণমূল। সেখানে ৬ মাস আগে তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর জিতেছিলেন ২৩ হাজার ৭০৯ ভোটে। এ বার তার ৬ গুণ বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের সুব্রত মণ্ডল। বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা তাঁর কাছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫১ ভোটে হেরেছেন।
অঙ্ক বলছে, এই ৪ কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৩৮.১ শতাংশ। উপনির্বাচনে সেটাই কমে হয়েছে ১৪.৫ শতাংশ। ফলে দিনহাটা, গোসাবা এবং খড়দহে জামানত খুইয়েছে বিজেপি। একমাত্র শান্তিপুরে বিজেপি জামানত রক্ষা করতে পেরেছে। বিজেপি গোসাবা আসনে ভোট পেয়েছে ৯.৯৫ শতাংশ, খড়দহে ১৩.০৭ শতাংশ, শান্তিপুরে ২৩.২২ শতাংশ এবং দিনহাটায় ১১.৩৩ শতাংশ।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)