West Bengal Covid পরিস্থিতি জটিল, নির্ধারিত কনটেইনমেন্ট জোন

West Bengal Covid

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: West Bengal Covid পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের কপালের ভাজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। ২৫ ডিসেম্বরে পার্কস্ট্রিটের ভিড়ের ছবি ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা আতঙ্কের। যে কারণে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি যাতে সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। পার্কস্ট্রিটকে নো-ওয়াক জোন করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হানা দিয়ে মাস্ক ছাড়া লোক দেখলেই আটক করছে। তবুও রাজ্যের পরিস্থিতি রীতিমতো আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। গত দু’দিন ধরে রাজ্যে হাজারের উপর বেড়েছে সংক্রমণ।

বুধবার যেটা ছিল হাজারের ঘরে বৃহস্পতিবার তা পৌঁছে গিয়েছিল দু’হাজারের ঘরে। শুক্রবার সেটা পেড়িয়ে গিয়েছে তিন হাজারের গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৪৬ শতাংশ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৪৫১ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৯৫৪ জন। তার পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯৬ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১২৬ জন। পিছিয়ে নেই হাওড়াও। সেখানে আক্রান্ত ২৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১,৫১০ জন।

আগেই মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। সেই মতো গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০,৮১৩ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। টিকাকরণের গতিও বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত ১৭ জন। গোষ্ঠী সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ইতিমধ্যে শহর জুড়ে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৭টি জায়গাকে নির্ধারিত করেছে পুরসভা। সেই তালিকায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছ নবান্নে। সেখানে বন্ধ রাখা হবে ক্লাব, সুইমিং পুল ও জিমের মতো পরিষেবা।

কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম এদিন জানিয়ে দেন, কোনও এলাকায় যদি ৫-৬ জন কোভিড আক্রান্ত হন তাহলেই সেই এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হবে। সোমবার থেকেই খুলে যাচ্ছে সেফহোমগুলো। এদিন তিনি পার্কস্ট্রিট চত্তরেও যান। নিজে হাাতে মাস্ক বিলি করেন। মাইকিং করে জনসাধারণ মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হয়। এর পর প্রশাসনের আর কী করার থাকতে পারে যদি মানুষ নিজে না সচেতন হন। আর সত্যি সেই সচেতনতার বড্ড অভাব সব ধরনের মানুষের মধ্যেই।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)