ফাঁকা এটিএম হাতড়ে বেড়াচ্ছে আমজনতা

ফাঁকা এটিএমফাঁকা এটিএম

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের ফাঁকা এটিএম, এ বারও দেশের একটা বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে।

কয়েক দিন ধরেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছিল, এটিএম-এ টাকা নেই। বেশির ভাগ জায়গাতেই ফাঁকা এটিএম। পরিস্থিতির কথা মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এটা সাময়িক অবস্থা। খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

অর্থমন্ত্রীর আশ্বাসে যদিও আমজনতা চিঁড়ে ভেজাতে পারছে না। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গনা— সব জায়গা থেকেই একের পর এক অভিযোগ আসছে। কোথাও এটিএমে টাকা মিলছে না। জেটলি যদিও বলেছেন, ‘‘কোনও কোনও এলাকায় সাময়িক ভাবে টাকার অভাব দেখা দিয়েছে। তাতেই সমস্যা।’’ পাশাপাশি তিনি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছেন, বাজারে এবং ব্যাঙ্কে যথেষ্ট টাকা রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

আইসিআইসিআই এবং অ্যাক্সিসের শীর্ষ কর্তাকে ডাক গোয়েন্দাদের

এটিএম সঙ্কট নিয়ে এ দিন মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কটাক্ষ করে জানতে চেয়েছেন, ‘‘দেশে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?’’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই বিখ্যাত ‘বিমুদ্রাকরণ’-এর সিদ্ধান্তের পর দেশ জুড়ে এমন টাকার আকাল দেখা গিয়েছিল। ২০১৬-র ৮ নভেম্বর মাঝ রাত থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিয়েছিলেন। তার পর নতুন এবং পুরনো নোটের চক্করে দেশবাসীর বিস্তর ভোগান্তি পোহাতে হয়। নোট আসবে সেই ভরসায় এটিএমগুলিতে ছিল বিশাল লাইন। এবং দিনের শেষে সকলের মুখেই ছিল হতাশার চিহ্ন। এ বারও প্রায় সেই একই পরিস্থিতি।

অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শিবপ্রতাপ শুক্ল যদিও এর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য তিন দিন সময় চেয়েছিলেন। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নগদে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যের কাছে বেশি টাকা রয়েছে। কোথাও বা কম। সরকার রাজ্যভিত্তিক কমিটি তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে টাকা ট্রান্সফার করার জন্যও কমিটি গঠন করছে।’’

স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রজনিস কুমার জানিয়েছেন, সমস্যা সব থেকে বেশি অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, কর্নাটক এবং উত্তর বিহারে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই সব এলাকায় আগামী ৫-৭ দিন ধরে আরও বেশি করে ৫০০ টাকার নোট সরবরাহ করা হবে।’’