জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিমান ভাড়ায় বিপুল ছাড় উৎসবের মরসুমে। ডিসেম্বর মানেই উৎসবের সময়। ডিসেম্বর মানেই কাজ থেকে একটু ছুটি। আর ছুটি বেরিয়ে পড়া নতুন কোনও জায়গার উদ্দেশে। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। আর সেই সময় যদি বিমানগুলো তাদের টিকিটের দামে বিপুল পরিমানে ছাড় দেয় তা হলে তো কথাই নেই। বেড়ানোর আনন্দ তাতে দ্বিগুন হয়ে যায়। এ বার সেই কথা মাথায় রেখেই প্রায় সব বিমান সংস্থাই তাঁদের ভাড়ায় প্রচুর ছাড় দিতে চলেছে।
সে ডোমেস্টিক হোক বা আন্তর্জাতিক। সে এক দিকের হোক বা দু’দিকেরই। জেট এয়ারওয়েজ কিছু রুটে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। গো এয়ার সেখানে দিচ্ছে ৫০ শতাংস ছাড়। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোন বিমান কেমন ছাড় দিচ্ছে।
জেট এয়ারওয়েজ: ন’দিনের অফার নিয়ে এসেছে জেট। সেখানে এই অল্প সময়ের মধ্যে যাঁরা টিকিট কাটবেন তাঁদের ভাগ্যে জুটতে পারে বিপুল ছাড়। ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক দুই বিমানে এই ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে জেট। ১ জানুয়ারি ২০১৯-এর মাঝ রাত পর্যন্ত চলবে এই সেল।
এই ছাড় বিজনেস এবং ইকনমি দুই ক্লাসের জন্যই দেওয়া হবে। তবে আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে ৭ জানুয়ারি ২০১৯-এর মধ্যেই সেই টিকিটে যাত্রা করতে হবে।
গো এয়ার: এই বিমান শুধু ফুকেতের জন্যই ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। তার বিশেষ কারণআগামী মাসে ফুকেতে বসতে চলেছে থাইল্যান্ড ইয়াৎ শো। চলবে ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের এই শো-এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যে কারণে তারা এই বিপুল পরিমানে ছাড় দিতে পারছে।
গো এয়ারলাইন্সই প্রথম যারা সরাসরি ভারত থেকে ফুকেতে পৌঁছে দেওয়ার বিমান শুরু করেছিল।
স্পাইস জেট: এই সংস্থা আটটি নতুন সরাসরি বিমান নিয়ে আসছে। ১ জানুয়ারি থেকে হায়দ্রাবাদ সরাসরি যুক্ত হবে কলকাতা, পুণে ও কয়োম্বাটোরের সঙ্গে। এ ছাড়া বেঙ্গালুরু থেকে কোচি, পোর্টব্লেয়ার এবং বাগডোগরার বিমান বাড়ানো হয়েছে উৎসবের কথা ভেবে সাময়িক সময়ের জন্য।
হ্যাকারদের দখলে অন-লাইন আদানপ্রদান
এই বিমানগুলোকে চালানো হবে ৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তেলেঙ্গানার রাজধানী থেকে মোট ৪১টি সরাসরি বিমান শুরু করতে চলছে তারা।
হায়দ্রাবাদ-কলকাতা এবং কলকাতা-হায়দ্রাবাদের বিশেষ বিমানের ভাড়া করা হয়েছে ২৬৯৯ ও৩১৯৯ টাকা।
বিমানের টিকিটের মূল্য অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। গত চার বছরে এত কম বৃদ্ধি হয়েছে। সঙ্গে ফুয়েল চার্জ বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বিমান সংস্থাগুলো। এ বার ছাড় দিয়ে সেই ক্ষতির পরিমাণ কমাতে চাইছে।