অনিল আম্বানিকে বাঁচালেন মুকেশ আম্বানি, মেটালেন ৫৫০ কোটির দেনা

অনিল আম্বানিকে বাঁচালেন মুকেশ আম্বানি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক:  অনিল আম্বানিকে বাঁচালেন মুকেশ আম্বানি । হাতে ছিল আর মাত্র একটা দিন। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া দিন অনুযায়ী মঙ্গলবারের মধ্যে সুইডিশ টেলিকম সংস্থার ৫৫০ কোটি টাকা ফেরৎ দিতে হত। না হলে গ্রেফতার হতে হত রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের মালিক অনিল আম্বানিকে। কিন্তু সোমবারই তা মিটিয়ে দেওয়া হল আরকমের তরফে। ছোট ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন বড় ভাই মুকেশ আম্বানি ও তাঁর স্ত্রী নিতা আম্বানি।

গত মাসেই এরিকসন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় বিরাট অঙ্কের টাকা ফেরৎ না দেওয়ার অভিযোগে। কিন্তু অনিল আম্বানির পক্ষে এই বিশাল অঙ্কের টাকা একা ফেরৎ দেওয়া সম্ভব ছিল না। মুকেশ আম্বানি পাশে না দাঁড়ালে এই সমস্যা থেকে একা বেরিয়ে আসা সম্ভব ছিল না অনিলের।

সোমবার দাদা মুকেশ ও বৌদি নিতাকে ধন্যবাদ জানান অনিল।কঠিন সময়ে পরিবারের ধারা মেনে এ ভাবে তাঁর পাশে দাঁড়ানোয় তিনি বলেন, ‘‘আমি হৃদয় থেকে আমার দাদা মুকেশ এবং নিতাকে আমার পাশে দাঁড়ানর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে পরিবারেরসংস্কৃতিকে বজায় রেখে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।আমি এবং আমার পরিবার ওদের কাছে কৃতজ্ঞ। ওদের ব্যবহারে আমরা আবেগান্বিত।’’

নীরব মোদী লন্ডনে, গায়ে ৯ লাখের জ্যাকেট, ধরা পড়লেন ভিডিওয়

সেই বার্তায় জানানো হয়েছে আরকমের তরফে ৫৫০ কোটি টাকার ধার শোধ করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সুদও। ২০১৪ সালে এরিকসনের সঙ্গে চুক্তি করে রিলায়েন্স। রিলায়েন্সের নেটওয়ার্ক সামলানোর দায়িত্ব বর্তায় এই সংস্থার উপর। সাত বছরের চুক্তির মোট টাকার ১৫০০ কোটি টাকা না মেটানোর অভিযোগ করে এরিকসন। রিলায়েন্স দীর্ঘদিন ধরেই দেনায় জর্জরিত। বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাদের নেটওয়ার্ক। সেই অবস্থায় এই বিশাল অঙ্কের টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না রিলায়েন্স কর্ণধার অনিল আম্বানির পক্ষে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলা গেলে এরিকসনের সঙ্গে সমঝোতায় টাকার অঙ্ক কিছুটা কমানো হয়। ১৫০০ কোটি থেকে সেটা এসে দাঁড়ায় ৫৫০ কোটিতে। প্রথমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ধার মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে আদালত। কিন্তু তা না মেটানোয় আবার আদালতে যায় এরিকসন। সেখানে অনিল আম্বানিকে আবার টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোট।

এ বার দিন ধার্য হয় ১৯ মার্চ। না হলে তাঁকে হাজত বাস করতে হবে বলেও রায় দেওয়া হয়। কিন্তু সময় মতো দাদার সমর্থন পেয়ে জেল যাওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেলেন অনিল আম্বানি।

(বানিজ্য জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)