বাংলা সিরিয়ালে মহিলা ফৌজি, কে এই মেয়ে?

বাংলা সিরিয়ালে মহিলা ফৌজিএই গ্ল্যামারাস মেয়েকে এ বার দেখা যাবে কাঠখোট্টা চরিত্রে।

 নবনীতা দাশগুপ্ত


বাংলা সিরিয়ালে মহিলা ফৌজি নিয়ে এলেন শর্মিষ্ঠা। এই প্রথম কোনও মহিলা ফৌজির চরিত্র এল দর্শকের সামনে। ধারাবাহিক ‘মুখোশের আড়ালে’তে ঝিনুক এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প এখনই উপভোগ করতে শুরু করেছেন দর্শকরা। সেই সাধারণ মেয়ে একদিন লড়বে দেশের হয়ে। সব রকম ঝড় ঝাপটা থেকে দেশকে বাঁচাতে বন্দুক হাতে ছুটবে সে।

সেই ঝিনুকের চরিত্রে রয়েছেন শর্মিষ্ঠা আচার্য। ছোটপর্দার চেনা মুখ। এর আগে অরক্ষণীয়া, সাত পাকে বাধা, রাঙা মাথায় চিরুনি, রাজলক্ষ্মী কুরুক্ষেত্রম, গৌরীদান, গোপাল ভাড়, জয় কালী কলকাত্তেওয়ালি ধারাবাহিকে তাঁকে দেখেছেন দর্শক। সি আই ডি সিরিজেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুরুটা মাত্র ১২ বছর বয়সে। যোগাযোগটা করিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী। চুমকি চৌধুরীর গানের সঙ্গে স্টেজে একাধিক শো তে নেচেছেন শর্মিষ্ঠা।

শর্মিষ্ঠাই এই সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্র। ছোট্টবেলা থেকে কাজ করতে করতে যেন টলিউডটাই তাঁর ঘর-বাড়ি। মানিয়ে নিতে অসুবিধে তো হয়ই না। কিন্তু শুরুটা ঠিক কেমন ছিল বাংলার প্রথম মহিলা ফৌজির?

শর্মিষ্ঠা বলেন, “চুমকিদির আমার এক্সপ্রেশন ভাল লেগে যায়। আমাকে বলেন অভিনয় করতে। একটু সময় নিই। তারপর দিদির ভাই সন্দীপদা দেখা করতে বলেন। সেই শুরু। বলা যায় চুমকিদিই বুঝিয়েছিল আমি অভিনয়টা পারব।” এই বছরই একটি হিন্দি ধারাবাহিকের জন্য মুম্বইতে পাড়ি দেওয়ার কথা তাঁর। বিএ সেকেন্ড ইয়ারের এই ছাত্রী পড়াশুনা আর অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। কিন্তু ভাঁটা পড়েছে নাচের শিক্ষায়। আগে শেখাতেন। এত কাজের চাপে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে একটু হালকা হলেই আবার শুরু করবেন নতুন করে। নিজেই জানালেন সে কথা।

এর আগে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ ধারাবাহিকেও দেশপ্রেমিক বাবলুকে চিনেছেন দর্শক। কিন্তু কোনও মহিলা আর্মি অফিসারকে আজ পর্যন্ত দেখেনি। সাধ মেটাল কালারস বাংলা চ্যানেল। প্রোমোতে ফৌজির পোশাক পরে ছুটছে শর্মিষ্ঠা। এই অভিজ্ঞতা অবশ্যই শর্মিষ্ঠার জন্য একদম আলাদা। শর্মিষ্ঠা বলেন, “ছুটোছুটি বা ওয়ার্ক আউট এই চরিত্রটার জন্য খুব দরকার। তবে আমাকে নতুন করে খুব বেশি কিছু করতে হচ্ছে না। কারণ আমি ফিটনেস নিয়ে খুব সচেতন। নিয়মিত জিমে যাই। শরীর চর্চা করি। খুব চ্যালেঞ্জিং একটা চরিত্র এই ঝিনুক। এর আগে কোনও বাংলা ধারাবাহিকে মহিলা ফৌজিকে দেখা যায়নি। আমিই প্রথম। তাই চ্যালেঞ্জ টা যেন আরও একটু বেশি।’’

আলিয়া ভাটের দিদি তিনি, মহেশ ভাটের মেয়ে

 নিজেকে সমৃদ্ধ করতে অনুশীলনও করতে হয়। তিনিও করছেন। চরিত্রটা নতুন হলেও শরীর চর্চা নতুন নয় তাঁর কাছে। তাই খুব স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে শুটিং। এই ধারাবাহিকের শুটিং চলছে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। সেখানে অনস্ক্রিনে অনুশীলন করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এই প্রথম কোনও ধারাবাহিকের শুটিং হচ্ছে পিটি এস-এর অন্দরে। আর ইন্ডোর শুটিং চলছে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওতে।

আর এই ফৌজি লুক কেমন লাগছে? একেবারেই আলাদা লুক। আর সেটা যে শর্মিষ্ঠা দারুণ উপভোগ করছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে তাঁর উচ্ছ্বাস দেখে। পৌজির পোষাকে দারুণ মানিয়েওছে তাঁকে।