জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কারণ, তাঁর মেয়ে পায়েল কোমায় আচ্ছন্ন। কিন্তু, পায়েলের স্বামী ডিকি সিন্হা তাঁর চিকিৎসা করাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, মেয়ের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এমন সব অভিযোগ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মৌসুমী আবেদন করেন, মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব যাতে তিনি নিতে পারেন।
এর জবাবে শনিবার বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে ডিকি জানিয়েছেন, পায়েলের সঙ্গে মৌসুমীকে দেখা করতে দিতে বাধা দেবে না তাঁর পরিবার। এর পরেই মৌসুমীর করা আবেদনটি খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট।
গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মৌসুমীর দুই মেয়ে। তাঁদের নাম মেঘনা এবং পায়েল। ছোট থেকেই পায়েল ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। ২০১০-এ ডিকি সিন্হার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। গত বছর অসুস্থতা আরও বাড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইদানীং তাঁর অসুস্থতা আরও বেড়েছে।
মৌসুমী আদালতে অভিযোগ করেন, গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও চলতি বছরের এপ্রিলে জোর করে পায়েলকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে রেখেছেন ডিকি। এমনকি, পায়েলের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পরিচারিকাকে ছাড়িয়ে দেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁর মেয়ে কোমায় চলে গিয়েছেন। এ রকম একটা অবস্থায় মেয়ের ঠিক মতো চিকিৎসাও হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
মৌসুমীর আইনজীবী সমর্থ মোরে জানিয়েছেন, গত ২০ নভেম্বর খার থানাতেও ডিকির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর মক্কেল। ওই অভিযোগে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় ডিকির বিরুদ্ধে। কিন্তু, তার অপেক্ষা না করে বৃহস্পতিবারই সোজা বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৌসুমী।
আদালত সূত্রে খবর, হলফনামা দিয়ে মৌসুমীকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডিকি। পায়েলের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্টও দেখানো হবে মৌসুমীকে। তাই মৌসুমীর আবেদন খারিজ করা হয়েছে।