জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আরিয়ান খানের জামিন পিছিয়ে গেল আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। শনিবার রেভ পার্টি থেকে মাদক নেওয়া অবস্থায় ধরা পড়েন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যেই ছিলেন শাহরুখ খানের ছেলে ২৩ বছরের আরিয়ান খান। রবিবার তাঁদের নিয়ে আসা হয় মুম্বইয়ে। সেদিনই গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। সোমবার মামলাটি ওঠে আদালতে। স্বাভাবিকভাবেই নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে গ্রেফতার সকলকে না ছাড়ার আর্জি জানানো হয়, তদন্তের স্বার্থে। তাতে সাড়া দিয়ে জামিন নাকচ করে মুম্বই আদালত। এদিন জামিনের শুনানিতে যদিও দেখা যায়নি শাহরুখ বা গৌরী খান কাউকেই।
শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, তদন্ত সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা চালিয়ে যেতে হবে। যা দু’পক্ষ অভিযুক্ত এবং তদন্তকারীদের জন্য ভাল। আরিয়ান খান ছাড়াও হেফাজত বাড়ানো হয়েছে আরও ৭ জনের। যখন বিচারক তাঁর রায় দেন, তখন আরও দুই অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচাকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। তবে আরিয়ান খান ছিলেন শান্ত।
যদিও রবিবার জেরার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। এবং তাঁর মাদক নেওয়ার কথাও তিনি সেখানে স্বীকার করে নেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি গত ৪ বছর ধরে মাদক নিচ্ছেন দেশে, বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে। তার আগে বার বার অস্বীকার করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেরার মুখে ভেঙে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই ছেলের পরিনতিতে ভেঙে পড়েছেন মা গৌরী খান। আগেই প্যারিসে শুটিং বাতিল করেছেন শাহরুখ খান। কথাও বলেছেন, নিজস্ব আইজীবীদের সঙ্গে। বাইরে মুখ না খুললেও দ্রুত ছেলেকে জামিনে ছাড়ানোর চেষ্টাই করছেন বিখ্যাত বাবা।
বিলাসবহুল যে ক্রুজ পার্টি থেকে সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখান থেকে ১৩ গ্রাম কোকেইন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস এবং ৫ গ্রাম এমডি উদ্ধার করেছেন নার্কোটিক্স। সব লুকনো ছিল জামা কাপড়ের মধ্যে, বিশেষ করে অন্তর্বাসে, পার্সে, চশমার বাক্সে, স্যানিটারি ন্যাপকিনে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, এনসিবি আরিয়ান খানকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের হেফাজতে চেয়েছিল জেরার জন্য। তাদের দাবি এই মাদক মামলা আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত। তাই অভিযুক্তদের থেকেই তারা জানতে তৎপর কারা তাদের এই মাদক এনে দেয়।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)