রিয়া চক্রবর্তীর জেরা তৃতীয় দিনে, সন্দেহ সন্দীপ সিংকে ঘিরে

রিয়া চক্রবর্তীর জেরা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রিয়া চক্রবর্তীর জেরা চলছেই। শুক্রবার প্রথম সিবিআই রিয়ার নামে সমন জারি করে। সেদিন ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। দ্বিতীয়দিন শনিবার আবারও ডাকা হয়। সেদিন আট ঘণ্টা ধরে চলে জেরা। রবিবার আবারও রিয়া চক্রবর্তী জেরা চলে আট ঘণ্টা। সোমবার আবার জেরার মুখে পড়তে হবে রিয়াকে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে চলছে রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর জেরাও। মুম্বইয়ের ডিআরডিও গেস্ট হাউসে ঘাঁটি গেড়েছে সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। সেখানেই প্রতিদিন চলছে বিভিন্ন সন্দেহভাজন ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের জেরা।

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্তে অভিযোগের কেন্দ্রে রিয়া। এদিন রিয়া ও তাঁর ভাই সকাল ১০.৩০ নাগাদ ডিআরডিও গেস্ট হাউসে পৌঁছন। মুম্বই পুলিশের একটি গাড়িও তাঁদের সঙ্গে ছিল।

এদিনই সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও বাড়ির পরিচারক কেশবকেও ডাকা হয় ডিআরডিও গেস্ট হাউসে। এর আগে শনিবার সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকা সিদ্ধার্থ পিঠানী ও রান্নার লোক নীরজ সিং এবং অ্যাকাউন্টেন্ট রজত মেওয়াতিকেও ডাকা হয়।

এর মধ্যেই সন্দীপ সিংকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকের প্রডিউসার। সুশান্তের মৃত্যুর দিন তাঁকে অনেক বেশি তৎপর দেখা গিয়েছিল। ড্রাগ মামলায় উঠে আসছে সন্দীপের নাম। সন্দীপকে কেন ডাকছে না সিবিআই সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই সন্দীপ সিং সুশান্ত ও অঙ্কিতা লোখাণ্ডের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে রিয়া তাঁকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন।

সুশান্তের মৃত্যুর পর সবার আগে তাঁর পরিবারের তরফে সেখানে পৌঁছেছিলেন তাঁর দিদি মিতু সিং। যিনি ৮-১২ জুন রিয়া বাড়ি ছাড়ার পর ছিলেন সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে। জানা যাচ্ছে সোমবার মিতু সিংকেও সমন জারি করা হতে পারে। মিতু সিংয়ের সঙ্গে সারাক্ষণ সুশান্তের বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছিল সন্দীপ সিংকেও। তার পর হাসপাতালেও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জোড়াল হচ্ছে।

এর মধ্যে ড্রাগ মামলায় গোয়া থেকে মুম্বই পৌঁছলেন হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব। গৌরবের সঙ্গে রিয়ার মাদক নিয়ে চ্যাট ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই কথোপকথন ২০১৭ সালের। নাকোর্টিক্স ব্যুরোর সামনে তাঁকে কালই হাজিরা দিতে হতে পারে। তবে তিনি দাবি করেছেন, তিনি সুশান্তকে চেনেন না।

এদিকে সিদ্ধার্থের উত্তরে উঠে আসছে নানা দিক। এক প্রাক্তন ম্যানেজার দিশার মৃত্যুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত। সুশান্তের সংস্থার কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন তাঁর দিদি প্রিয়ঙ্কা। আর সেকারণে অনেকেই কাজ ছেড়েও দেন। বা রিয়া নিজে হাতে সুশান্তকে ওষুধ খাওয়াতেন। ব্যবহার করতেন সুশান্তের কার্ড।  সুশান্তের আসপাশেই লোক বদলের যে অভিযোগ রিয়ার বিরুদ্ধে উঠছিল তা সিদ্ধার্থে বয়ানে পুরোটাই বদলে গিয়েছে।

সিদ্ধার্থ জানিয়েছে, ১৪ জুন তিনি সুশান্তের বাড়ির হলেই বসেছিলেন যখন কেশব তাঁকে সুশান্তের দরজা না খোলার কথাটি জানায়। অনেকবার ডাকাডাকির পর সুশান্ত দরজা খোল না। সেই সময়ই সুশান্তের দিদি মিতু সিদ্ধার্থ পিঠানীকে ফোন করে জানান, সুশান্ত তাঁর ফোন ধরছেন না। এর পরই চাবীওয়ালাকে ডেকে ঘর খোলা হয়।

সিদ্ধার্থে মুখোমুখি বসানো হতে পারে রিয়াকে। প্রশ্ন উঠছে দিশার মৃত্যুতে কেন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত? কেন হার্ডডিস্ক থেকে মুছে ফেলতে বলেছিলেন সব ভিডিও, ছবি। কেনই বা চণ্ডিগড়ে দিদির বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সেই সময় কী ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে? কেন সিনেমা ছেনে দিতে চেয়েছিলেন অভিনেতা?

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)