জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কলকাতায় অনুষ্ঠানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন গায়ক কেকে। মনে করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হন সঙ্গীতশিল্পী কেকে (Singer KK Died)। জানা যাচ্ছে এদিন গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানও করেন তিনি। তার পরই হোটেলে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শোনা যাচ্ছে সিঁড়িতেই পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অসুস্থ বোধ করছিলেন। অনুষ্ঠানের বিরতিতে ব্যাকস্টেজে কিছুক্ষণ বিশ্রামও করেন। তারপর আবার অনুষ্ঠান শেষ করেন। শেষ বেলায়ও মাতিয়ে যান। সোমবারও কলকাতায় অনুষ্ঠান করেছিলেন। বুধবার আরও একটি শো ছিল।
এদিন তিনি গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে পৌঁছন সন্ধে ৬.৪০ নাগাদ। জানা যাচ্ছে তাঁর ঢোকার সময় তাঁকে ঘিরে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ভিড় সরাতে গ্যাস স্প্রে করারও অভিযোগ রয়েছে। শোনা যাচ্ছে হোটেলেও তাঁকে দেখে ফ্যানরা ঘিরে ধরেন কিন্তু তিনি এতটাই অসুস্থ বোধ করছিলেন যে না দাঁড়িয়েই এগিয়ে যান। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। বুধবার তাঁর ময়নাতদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর কারণ। তার পরিবারের কাছে ইতিমধ্যেই খবর পৌঁছেছে। তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে। বুধবার সকালে পরিবারের লোকেদের কলকাতায় পৌঁছনোর কথা।
কেকে-র অসুস্থতার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ছুটে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে কেকে-র ২৭ বছরের বন্ধুত্ব। তিনি কিছুতেই এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। হাসপাতালে পৌঁছেছেন গায়ক অনুপম রায়ও। কেকে-র মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া ভারতীয় সঙ্গীত জগতে। একে একে হাসাপাতালে পৌঁছচ্ছেন বাংলা সঙ্গীত জগতের অনেকেই। আজ সারারাত সেখানেই রাখা থাকবে কেকে-র দেহ। রবিবার ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ পরিচিত ছিলেন কেকে নামেই। বিখ্যাত তাঁর ‘পল’ ও ‘ইয়ারো’ গান দু’টি আজও বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে রয়েছে। ১৯৯০-র শেষে তার এই গান দু’টি সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এর পর ১৯৯৯-এ আসে তাঁর অ্যালবাম ‘পল’। তাঁর প্রথম হিট প্লে ব্যাক গান ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর ‘তরপ তরপ কে’। এর পর ‘দেবদাস’-এর ‘ডোলা রে’, ‘এম শান্তি ওম’-এর ‘আঁখো মে তেরি’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর ‘তু জো মিলা’-সহ অজস্র হিট গান রয়েছে। ৫টি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারও রয়েছ। ১১টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে বাংলাও।
১৯৬৮-র ২৩ অগস্ট মালয়ালি পরিবারে দিল্লিতে জন্ম হয় কেকে-র। আর ৩১ মে ২০২২ সব শেষ। বলিউডে পা রাখার আগে সাড়ে তিন হাজারের বেশি জিঙ্গল গেয়েছিলেন তিনি। পড়তেন দিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরিস স্কুলে। স্নাতক হন কিরোরিমল কলেজ থেকে। ১৯৯৯-এ বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থনে ‘জোশ অফ ইন্ডিয়া’ গানটি গেয়েছিলেন। ১৯৯১-এ তিনি বিয়ে করেন জ্যোতিকে। ছেলে নকুলকে গাইয়েছিলেন তাঁর অ্যালবাম ‘হামসফর’এ। মেয়ের নাম তামারা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google