জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: অর্ক চ্যাম্পিয়ন কেন, উঠছে প্রশ্ন। সারেগামাপা বাংলা শেষ হল রবিবার। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ইমন চক্রবর্তীর দলের অর্কদীপকে। আর তার পর থেকেই শুরু হয়েছে সামলোচনা। বিচারকদের অর্কদীপকে বেছে নেওয়াটা মেনে নিতে পারেননি কেউই। জি বাংলা পরিবারের বাইরে দেখা যাচ্ছে সকলেরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন নিহারিকা। তার পিছনে সবাই সবার মতো করে যুক্তি দিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে কেন সেরা চারে নয় রক্তিম? কেন চ্যাম্পিয়ন নয় নিহারিকা? কেন সেরা চারে জায়গা পেলেন অনুষ্কা? ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। যা মোটেও ভালভাবে নেননি এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে জরিয়ে থাকা মানুষগুলো। প্রশ্ন উঠছে তাঁদের কাজ নিয়ে। সোমবার সকালে ফেসবুক লাইভ করে তার জবাব দিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে গুরু হিসেবে থাকা ইমন চক্রবর্তী।
এদিন তিনিও সমালোচকদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘সোশ্যাল মিডিয়া থাকলেই যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না।’’ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী কেউ কেউ নাকি টাকা খাওয়ার কথাও তুলেছে। তাঁদেরও ছেড়ে কথা বলেননি ইমন। প্রশ্ন তুলেছেন, এই সমালোচনার পর অর্কর মনের উপর কী চাপ পড়বে? তাঁদের কথা ভাবা উচিত। তিনি অভিযোগ করেছেন, না জেনে, না বুঝে মানুষ কথা বলে যাচ্ছে যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। ইমনের মতে, অর্ক প্রথম না হয়ে নিহারিকা প্রথম হলেও নানা প্রশ্ন উঠত। কাউকে ভাল বলতে না পারলে খারাপ বলারও অধিকার নেই। ওদের পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
ইমনের সঙ্গেই গলা মিলিয়েছেন সঙ্গীত শিল্পি লোপামুদ্রা মিত্রও। যদিও তিনি ছিলেন না এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে কোনওভাবেই। তবে বিচারকের আসনে ছিলেন তাঁর স্বামী জয় সরকার। সমালোচকরা জয় সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে লোপামুদ্রাকেও ছাড়েননি বলে অভিযোগ। লোপামুদ্রা তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘‘আপনারাই শ্রেষ্ঠ বিচারক সেটা মেনেই গানবাজনা করছি। সারেগামাপা-তে ভুল বিচার হয়েছে বলে রাগ উগরে দিলেন, আমার বর বিচারকের আসনে ছিলেন বলে আমাকেও ছাড়লেন না।’’
ইমনের মতই লোপামুদ্রা অর্কর মানসিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। একটা ছেলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতটা কষ্টে আছে। সত্যিই তো অর্কর কী দোষ? ও তো বলেনি ওঁকে চ্যাম্পিয়ন করতে হবে? সারেগামাপা বাংলা সঙ্গীতপ্রেমী সব বাঙালির খুব কাছের অনুষ্ঠান। যাঁরা ওটা দেখেন তাঁরা ওটার মধ্যে ডুবে থাকে। নিজেরাই কখনও কখনও বিচারক হয়ে যান। তবে এভাবে সবাই একমত কখনও হয়নি। এভাবে সবাই জি বাংলার বিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়নি। এটা নিয়েও জি বাংলার ভাবার সময় এসেছে।
গত বছর অঙ্কিতার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলেছিল বলে মনে পড়ছে না। যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরাই এই অনুষ্ঠানের টিআরপিকে শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এটা সত্যি, অর্কদীপের কথা ভাবার সময় এসেছে। অর্কদীপ তাঁর জায়গায় সেরা। নিহারিকা তাঁর জায়গায়। পথ চলা এখনও অনেক বাকি। সমালোচনা করার সময় তো পরেই থাকল।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)