আর্সেনিকাম অ্যালবাম: করোনা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি কতটা সঠিক

আর্সেনিকাম অ্যালবাম

আর্সেনিকাম অ্যালবাম-এর নাম সর্বজনীন হয়ে ওঠার অনেক আগে থেকেই গোটা বিশ্ব জুড়ে আলোচনা চলছিল, করোনা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি কী ভাবে কাজ করছে। কোনও কিছুতেই যে থামানো যাচ্ছে না করোনাকে। প্রতি দিন ভয়ঙ্কর ভাবে এই রোগের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় কি তা হলে হোমিওপ্যাথিই ভরসা? তা নিয়ে লিখলেন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রশিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী


গোটা বিশ্ব যখন করোনা-আতঙ্কে কাঁটা, প্রতিষেধকের কোনও সুরাহা হচ্ছে না, তখনই ভারতীয় আয়ুষ মন্ত্রক একটা নির্দেশ দেয়। সেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম’-এর কথা বলা হয়। তার পর থেকেই এই হোমিওপ্যাথি ওষুধের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে বিপুল ভাবে। দেশ জুড়েই। কিন্তু কী ভাবে এই ওষুধ খেতে হবে, তা নিয়ে চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে চার দিকে।

আজ আমি আপনাদের আর্সেনিকাম অ্যালবাম-এর ডোজ নিয়ে দু’এক কথা বলব। আমরা যাঁরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা দেশের সর্বত্রই একটা নির্দিষ্ট ডোজে আর্সেনিকাম অ্যালবাম খেতে বলছি।

কী সেই ডোজ?

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০-এর চারটি বড়ি খেতে হবে। আর ছোটদের ক্ষেত্রে ২টি বড়ি, সেটাও কিন্তু খালি পেটে। এ ভাবে পর পর তিন দিন। তার পর এক মাস আর কোনও ওষুধ নেই। এক মাস বাদে একই ডোজে আর্সেনিকাম অ্যালবাম খেতে হবে।

এ তো গেল বড়ির কথা।

এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ কিন্তু তরল ফরম্যাটেও পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে এই ওষুধ খেতে হবে ১ ফোঁটা করে। সেটাও পর পর ৩ দিন এবং অবশ্যই খালি পেটে। এক মাস বাদে আবারও একই ডোজে খেতে হবে এই ওষুধ। আর্সেনিকাম অ্যালবাম ওষুধটি বিভিন্ন হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায়।

তবে যে সব রোগীরা আগে থেকে অন্য ওষুধ খাচ্ছেন বিভিন্ন রোগের জন্য, তাঁরা কিন্তু অবশ্যই তাঁদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ খাবেন।

(এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে www.justduniya.com/স্বাস্থ্য)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)