প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দেশের তিন রাজ্যে মৃত ৯০

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ত একেই বলে। প্রচণ্ড ঝড়, ধুলোঝড়, তুমুল বৃষ্টি এবং মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেশের তিন রাজ্য। প্রভাব পড়েছে আরও দুই রাজ্যে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় ৯০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

বুধবার রাত থেকেই উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ড প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে। সব মিলিয়ে ওই তিন রাজ্যে অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা একশোরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।

ওই দিন রাতে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়। সঙ্গে টানা বৃষ্টি। গাছ এবং বাড়ি চাপা পড়ে সে রাজ্যে মারা গিয়েছেন ৬৪ জন। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন আগ্রায়। সেখানে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই রাতেই রাজস্থানে প্রচণ্ড ধুলোঝড় শুরু হয়। সেখানে মারা গিয়েছেন ৩১ জন। পাশাপাশি মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যায় উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সে রাজ্যেও ২ জন মারা গিয়েছেন।

সব থেকে বেশি ১৫ দূষিত শহরের মধ্যে ১৪টিই ভারতের

ঝড়ের দাপটে সব জায়গাতেই উপড়ে গিয়েছে প্রচুর গাছ। উড়ে গিয়েছে বিভিন্ন ঘর-বাড়ি-দোকানের ছাউনি। প্রকৃতির তাণ্ডবে প্রায় ধ্বংসস্তূপের দশা হয়েছে জায়গাগুলির। উত্তরপ্রদেশ-রাজস্থানের আঁচ লাগে দিল্লিতেও। তবে রাজধানীতে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের সকল কর্তাব্যক্তিদের জরুরিভিত্তিতে উদ্ধারকাজের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ত্রাণ এবং ওষুধপত্র দ্রুত পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই নির্দেশ দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে সরকার।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ ধুলোঝড়ে অনেকের প্রাণ গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক, এই কামনা করি।

রাজস্থানের ভরতপুরেই শুধু মারা গিয়েছেন ১১ জন। এ ছাড়া অলওয়ার, ঢোলপুর, ঝুনঝুনু, বিকানেরেও অনেকে মারা গিয়েছেন। ঝড়ের জেরে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে, তার ছিড়ে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেরা ব্যহত। আজ বৃহস্পতিবার জেলার সমস্ত স্কুল-কলেজ ছুটি দেওয়া হয়েছে অলওয়ারে।

উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে বহু এলাকা। বিপর্যয়ের ফলে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে চারধাম যাত্রা।

বিপর্যয়ের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ ধুলোঝড়ে অনেকের প্রাণ গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক, এই কামনা করি।