সলমনের জামিন, জেল থেকে পৌঁছলেন মুম্বইয়ের বাড়িতে

সলমনের জামিনসলমনের জামিন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বেলা ৩টে নাগাদ সলমনের জামিন মঞ্জুর হয়। দায়রা আদালত থেকে সেই জামিনের কাগজপত্র জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পৌঁছতে পৌঁছতে বেজে গেল বিকেল পাঁচটা। তার ঠিক আধ ঘণ্টা পরেই জেলের গেটের ছোট দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলেন সলমন খান।

সেখান থেকে সোজা জোধপুর বিমানবন্দর। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল একটি চার্টার্ড বিমান। মিনিট পনেরোর মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান সলমন। সেখান থেকে সরাসরি মুম্বই পৌঁছলেন, রাত তখন প্রায় সাড়ে সাতটা। সান্তাক্রুজ বিমানবন্দর থেকে বান্দ্রার বাড়ি— কতটাই আর দূর। বিমানবন্দরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রচুর অনুরাগী। বান্দ্রার বাড়ির বাইরেও ভিড় করেছিলেন তাঁরা।

কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় আপাতত ৪৮ ঘণ্টাতেই শেষ হল ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর কারাবাস। জোধপুর দায়রা আদালতের বিচারক রবীন্দ্রকুমার জোশীর আচমকা বদলির নির্দেশ এসেছিল শুক্রবার রাতে। শনিবার তাঁর আদালতে জামিনের শুনানি নিয়ে তাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সলমনের আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত বিচারক জোশীই আজ সকালে ঘণ্টাখানেকের সওয়াল-জবাব শুনে মোট এক লক্ষ টাকার জামিনে মুক্তি দেন সলমনকে। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে অন্য আদালতের দায়িত্ব নেবেন বিচারক জোশী। আগামী ৭ মে ফের শুনানি। সে দিন দায়রা আদালতে সলমনের মামলা শুনবেন বিচারক চন্দ্রকুমার সোনগরা। আপাতত কোর্টের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না সলমন।

ট্রেনে চেপে যাওয়া যাবে কাঠমান্ডু

মোট ৫৪টি কারণ দেখিয়ে সলমনের জামিন চেয়েছিলেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলেছিলেন, ঠিক যে জায়গায় কৃষ্ণসার হরিণ মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ, প্রধান সাক্ষী পুনমচন্দ বিশ্নোইয়ের বাড়ি সেখান থেকে ২ কিলোমিটার দূরে। তিনি কী করে গাড়ির আওয়াজ শুনলেন? ঘটনাস্থলে বারুদের চিহ্ন মেলেনি। সলমনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, তা-ও প্রমাণ হয়নি। প্রশ্ন রয়েছে মৃত হরিণের ডিএনএ পরীক্ষা নিয়েও। সলমনের আইনজীবীরা জানান, হরিণগুলির চামড়া আদৌ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়নি। পাঠানো হয়েছিল শুধু পিছনের পায়ের হাড়। চামড়া পরীক্ষা না করে সেগুলি কোন প্রজাতির হরিণ এবং গুলিতেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা বোঝা সম্ভব নয়।

সলমনের অন্যতম আইনজীবী মহেশ বরা যুক্তি দেন, ‘‘এর আগে চোরাশিকারের সব ক’টি মামলাটিতেই ছাড়া পেয়েছেন সলমন। কারণ, সরকার পক্ষ অকাট্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি।’’ সরকারি আইনজীবী পোকররাম বিশ্নোই বলেন, এই প্রথম সলমনের বিরুদ্ধে কোনও মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া গিয়েছিল। সরকার পক্ষও যথেষ্ট অকাট্য প্রমাণই দিয়েছে। বিশ্নোই সম্প্রদায় জানিয়েছে, সলমনের জামিন খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে যাবে তারা।