জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিন অনুমোদন পাওয়ার দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল। ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে গত ৭ মাস ধরে। কিন্তু শিশুদের টিকা নিয়ে টালবাহানা চলছিলই। তাড়াহুড়ো করে শিশুদের টিকাকে অনুমোদন দিতে চায়নি কোনও দেশই। তবে দরজায় কড়া নাড়ছে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। তার জন্যও শিশুদের টিকা গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, বার বার উঠে আসছে তৃতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। কারণ ততদিনে বড়দের টিকাকরণ অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সে কারণেই শিশুদের টিকা নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই উদ্যোগেই ২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকা এনে ফেলল ভারত বায়োটেক।
বায়োটেকের ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকাকে ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। এখন বাকি শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ছাড়পত্র। যা দ্রুতই পাওয়া যাবে বলে খবর। ভারত বায়োটেকের তরফে দুটো বয়সগ্রুপের উতর পরীক্ষার তথ্য সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে পাঠানো হয়েছিল। সাব জেক্ট এক্সপার্ট কমিটি তা পুরোপুরি খতিয়ে দেখেই এই মত দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জুনিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ ভারতী প্রভীন জানিয়েছেন, দ্রুত এই টিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে যা ২-১৮ বছর বয়সীদের উপর প্রয়োগ করা হবে। শিশুদের নিরপত্তার কথা মাথায় রেখেই ট্রায়াল করা হয়েছে। তা নিয়ে কথাবার্তা চলছে এখনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাদের নিরপত্তা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন তিনি। ফাইনাল ছাড়পত্র দেবে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল। গত অগস্টে জাইডাস ক্যাডিলার তিন ডোজের ডিএনএ জ্যাবকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ১২ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য।
এ ছাড়া সিরাম ইনস্টিটিউটের নোভাভাক্সের টিকাকে১১ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল গত মাসে। ভারত বায়োটেক হাজারের উপর শিশুর উপর টিকার ট্রায়াল করেছে। সেই তথ্য জুনে ডিসিজিআই-এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে কোভ্যাক্সিন ভাইরাস আটকাতে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী। যদিও দেশে টিকার অভাব রয়েছে। এতদিনে ১৩০ কোটির দেশে পুরোপুরি টিকা পেয়েছেল ৩০ কোটি মানুষের থেকেও কম। যদিও কোভ্যাক্সিন এখনও বেশিরভাগ দেশেই স্বীকৃত নয়।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)