জন অ্যালেন চাউ নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে কেন গিয়েছিলেন? ধন্দে পুলিশ

জন অ্যালেন চাউজন অ্যালেন চাউ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জন অ্যালেন চাউ কেন গিয়েছিলেন নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে? গত ১৫ নভেম্বর রাতে বেশ কেয়ক পাতা নোট লিখেছিলেন মার্কিন ওই নাগরিক। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, জন অ্যালেন চাউ খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যেই ওই দ্বীপে গিয়েছিলেন। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, জন অ্যালেন চাউ অ্যাডভেঞ্চারের জন্যই ওই দ্বীপে গিয়েছিলেন। ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

আন্দামান পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, যে জেলেদের নৌকায় করে জন অ্যালেন চাউ সেন্টিনেলিজ জনজাতির দ্বীপ নর্থ সেন্টিনেলে গিয়েছিলেন, সেই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে আলেকজান্ডার নামে এক ব্যক্তিকেও। ধৃতদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর ২৫ হাজার টাকায় সাত জেলেকে ভাড়া করেছিলেন জন।

ঠিক ছিল, নর্থ সেন্টিনেলের কাছাকাছি পৌঁছে দেবেন তাঁরা জনকে । ওই দিন রাত ৮টা নাগাদ রওনা হন জন। নৌকায় ছিলেন তাঁর ক’জন বন্ধুও। তারই মধ্যে আলেকজান্ডার ছিলেন। ঘণ্টা আটেক পর অর্থাৎ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ নৌকা থেকে নেমে একটা ছোট ডিঙি নিয়ে জন একাই ওই দ্বীপে নামেন।

বৈশাখীর অসম্মান মেনে নিতে পারছিলেন না বলেই ক্ষমতা ছেড়েছেন মন্ত্রী শোভন

কিন্তু, নামা মাত্রই তাঁকে উদ্দেশ্য করে তির ছোড়ে ওই দ্বীপের অধিবাসীরা। তার পর জন পালিয়ে এসে ফের ডিঙি চেপে নৌকায় পৌঁছন। সেই রাতেই তিনি কাগজে বেশ কিছু নোট লেখেন। পরে সেগুলো পুলিশের কাছে জমা দেন ওই আলেকজান্ডার। তিনি আরও জানান, ওই দিন ভোরে কিছু মাছ, মাছ ধরার জাল, কাঁচি আর একটা ফুটবল নিয়ে দ্বীপে নেমেছিলেন জন। পরে জন নৌকায় ফিরে আসেন।

কারণ? তাঁকে দেখেই তির ছুড়েছিল দ্বীপের লোকজন। জনও সে কথা তাঁর নোটে লিখেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘একটা বাচ্চা তির মারল আমার হাতের বইটায়। হোমরাচোমরা একটা লোক পাথরে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে উঠল।’’

নিজের মাকে লেখা ওই লেখায় জন আরও লিখছেন, ‘‘এদের কাছে যিশুকে নিয়ে যাওয়াটা জরুরি। আমি মারা গেলে এদের উপরে বা ঈশ্বরের উপরে রাগ কোরো না। আমি দেখতে চাই, এরা নিজেদের ভাষায় ঈশ্বরের উপাসনা করছে।’’ আর সেখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে, ধর্ম প্রচারের জন্যই ওই দ্বীপে গিয়েছিলেন জন।

এর পর দিন অর্থাৎ ১৬ তারিখ সকালে ফের জন ওই দ্বীপে নামেন। কিন্তু, দূরের নৌকা থেকে জেলেরা দেখেন, কয়েক জন লোক টেনেহেঁচড়ে বালির বিতর একটি দেহ নিয়ে যাচ্ছে। পোশাকের রং দেখে তাঁদের সন্দেহ, ওটা জনেরই দেহ।য় তির দিয়েই দ্বীপবাসী খুন করেছে জনকে।

তবে জনের দেহ উদ্ধারের জন্য ওই দ্বীপের কাছাকাছি অপেক্ষা করছে পুলিশের বিশাল বাহিনী। অথচ দ্বীপে পা রাখার সাহস নেই কারও। আদৌ জনের দেহের সন্ধান মিলবে কি ‌না তা নিয়ে এখনও তিমিরে রাজ্য পুলিশ ও নৃতত্ত্ববিদের দল।

View this post on Instagram

John Allen Chau

A post shared by John Chau (@johnachau) on