মুখ খুললেন অমিত শাহ, প্রশ্ন তুললেন কর্নাটকে গিয়ে কী করবেন মমতা

মুখ খুললেন অমিত শাহঅমিত শাহ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কর্নাটকে নির্বাচনের পর এই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অমিত শাহ। সোমবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি। সেই বৈঠকে রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— কারও নাম না করেই বিরোধীদের জোটবদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করেন অমিত।

কর্নাটকে বিজেপি একক ভাবে ১০৪টি আসন দখল করে। বিরোধী কংগ্রেস এবং জেডি(এস) ভোটের পর ফল প্রকাশের পর বিজেপিকে ঠেকাতে জোটবদ্ধ হয়। জোটের সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুবাদেই রাজনৈতিক মহলের আলোচনায় উঠে আসছিল, কর্নাটকের ভোট ফলের পর রাহুল গান্ধী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা বিজেপির বিরোধিতায় কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন। অমিত এ দিন সেই কাছাকাছি আসার রসায়নে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

দিল্লিতে আজ সাংবাদিকরা অমিত শাহকে প্রশ্ন করেন, কর্নাটকের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিরোধীরা বিজেপিকে চার দিক থেকে আটকাবার চেষ্টা ধরছে। বিজেপি এ নিয়ে কী ভাবছে? জবাবে অমিত শাহ জানান, এর আগেও এই বিরোধী দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়েছে। একসঙ্গে আসার মানে কী? মমতা কর্নাটকে গিয়ে কী করবেন? অখিলেশজি মধ্যপ্রদেশে কী করতে পারবেন? কিংবা রাহুলজিই বা বাংলার ভোটে কী করতে পারবেন?

এ ছাড়া অন্য কোনও নেতার নাম অমিত শাহ এ দিন করেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, অমিত শাহ চাইলে অন্য আরও বিরোধী নেতার নাম করতে পারতেন। কিন্তু সুকৌশলে রাহুল-মমতার নাম নিয়ে তাঁদের মধ্যে ফাটল ধরাতে চাইলেন। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসও কিছু করে উঠতে পারবে না। রাজনৈতিক মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে আবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা এমনিতেই চান না, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে মমতার কোনও রকম ঘনিষ্ঠতা বা সখ্য গড়ে উঠুক। কারণ, রাজ্যে কংগ্রেস এখন তৃণমূলের আক্রমণের শিকার। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে অমিত শুধু রাহুল-মমতার নামই করেছেন।

এ দিন অমিতকে কর্নাটকে বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কংগ্রেস সেই অভিযোগ তুলেছে। অমিত জানান, কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলছে, তা ঠিক নয়। আর যারা এই অভিযোগ তুলছে, সেই কংগ্রেস তো শুধু ঘোড়া কেনাবেচা নয়, গোটা আস্তাবলই বিক্রি করে দিয়েছে একটা সময়ে। তাঁর মতে, কর্নাটকে মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। না হলে ১০৪টি আসন পাওয়া যায় না। কংগ্রেস বা জেডি(এস) সেই তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে।