বুরারির ভাটিয়া বাড়িতে রহস্য আরও ঘনীভূত, বাড়ির বাইরে ১১টা পাইপ কেন?

বুরারি কাণ্ডেবুরারির ভাটিয়া বাড়ির মৃত সদস্যরা।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বুরারির ভাটিয়া বাড়িতে রহস্য আরও ঘনীভূত। গোটা বাড়িটাই পুলিশ সিল করে দিয়েছে বলে কেউই আর বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পারছেন না। কিন্তু, বাড়ির পিছনের অংশে উঁকি মারছে ১১টা পাইপ।

কেন? সেই প্রশ্নেই আপাতত উত্তাল গোটা দেশ। রহস্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ওই পাইপগুলির চারটি লম্বা এবং মোটা এবং বাকি সাতটা বাঁকা এবং সরু। ঘটনাচক্রে ওই বাড়িতে গত রবিবার সকালে যে ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়, তাঁদের মধ্যে চার জন পুরুষ এবং বাকি সাত জন মহিলা ছিলেন।

তবে ওই ভাটিয়া পরিবারের প্রতিবেশীদের দাবি, ওই পাইপগুলির সব ক’টি কোনও না কোনও ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম বা চিলেকোঠা থেকে বেরিয়ে এসেছে। কোনওটার কাজ হাওয়া যাতায়াত, কোনওটা দিয়ে শুধু জল বার হয়।

একই পরিবারের ১১ জনের দেহ উদ্ধার দিল্লিতে, তদন্তে নেমে ধন্দে পুলি

আসলে কোনও মোক্ষ লাভের আশায় ওই পরিবার একসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশের একটা অংশ মনে করছে। ভাচটিয়াদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি-কাগজ উদ্ধার হওয়ার পরেই পুলিশের এমনটা মনে হচ্ছে। তাদের ধারণা, ওই পরিবারের সকলে কোনও আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশ্বাস করতেন। সেই জায়গা থেকেই এমন মৃত্যুভাবনা।

তবে তদন্তকারীদের একটা অংশ আবার এটাও মনে করছেন, কোনও তান্ত্রিক বা ধর্মগুরু সে দিন রাতে ওই বাড়িতে ছিলেন। তিনি গোটাটা নির্দেশ দিয়ে করিয়েছেন। কারণ, এমন গুপ্ত চর্চা ভাটিয়ারা সকলে যখন করছেন, তখন তাঁদের সদর দরজা খোলা! এমন গুপ্তকাজ কেউ দরজা খুলে রেখে করে না বলেই পুলিশের দাবি। তবে কি কেউ, ভাটিয়াদের মৃত্যুর পর ওই বাড়ি ছেড়ে বার হয়ে যায়? কে তিনি? পুলিশ খুঁজছে।

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খুবই অস্পষ্ট। তা খতিয়ে দেখে কিছুই বুঝতে পারছে না দিল্লি পুলিশ। তবে, সম্ভাব্য সব দিকই তাঁরা খতিয়ে দেখছেন বলে দাবি করেছেন দিল্লি পুলিশের এক কর্তা।

পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির ছোটছেলে ললিত অপ্রাকৃতের চর্চা করতেন। তাঁর প্লাইউডের ব্যবসা। কয়েক মাস আগে প্লাইউডের আঘাতে তিনি কথা বলতে পারতেন না। সম্প্রতি পারছিলেন। মাঝে মাঝে তিনি নাকি তাঁর মৃত বাবার সঙ্গেও কথা বলতেন। বাড়ির সকলেই বিষয়টি জানতেন। তিনিই কি কোনও ভাবে পরিবারের বাকিদের প্রভাবিত করেছেন? তা হলে তাঁর নিজের ছেলেমেয়ে এমনকী ভাইপো ভাইজিদের কী ভাবে এ কাজ করতে সম্মত করলেন? প্রশ্নগুলো উঠছে। কিন্তু, জবাব মিলছে না এখনও।