জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভূপেন্দ্র পটেল গুজরাতের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন। তাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য কোনও আলোচনাতেই ছিল না। গুজরাতের প্রবীণ এই বিজেপি নেতা আসলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত। বিজয় রূপাণীর জায়গায় তিনিই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। রবিবার এক বৈঠকে ভূপেন্দ্র পটেল পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন। ভূপেন্দ্র পটেল গুজরাতের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন, তার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পছন্দের ব্যক্তি।
এ দিনে পরিষদীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। আগামী বছরেই গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটে ভূপেন্দ্রর নেতৃত্বে বিজেপি ভাল ফল করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন রূপাণী।
ভূপেন্দ্র পটেল ঘাটলোদিয়ার বিধায়ক। এই কেন্দ্র থেকে আগে আনন্দীবেন পটেল দাঁড়াতেন। ভূপেন্দ্র পটেল গুজরাতের নতুন মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু এই আলোচনা দলের অন্দরেও ছিল না রবিবার সকাল পর্যন্ত। ঠিক যেমন ভাবে বোঝাই যায়নি, শনিবার বিকেলে আচমকাই বিজয় রূপাণী পদত্যাগ করবেন। এ দিনের পরিষদীয় দলের বৈঠকের আগে পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম শোনা যাচ্ছিল। প্রথম জন মনসুখ মান্ডবীয় এবং দ্বিতীয় জন পুরুষোত্তম রুপালা। লক্ষদ্বীপের বিতর্কিত প্রশাসক প্রফুল খোড়া এবং গুজরাতের কৃষিমন্ত্রী আরসি ফালদুর নামও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে অমদাবাদ নগর উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য ভূপেন্দ্র পটেল যে পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হবেন এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন, তা কারও ভাবনাতেই ছিল না।
শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যান বিজয় রূপাণী। তিনি জৈন সম্প্রদায়ের ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র ১৫ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিজয় রূপাণীর সরে দাঁড়ানোয় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। তবে বোঝাই যাচ্ছিল, পতিদার সম্প্রদায় বা পটেলরা রূপাণীর উপরে খুব একটা খুশি ছিল না। ফলে পতিদার সম্প্রদায়েরই কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল। আর সেই মুখকেই সামনে রেখে বিধানসভা ভোটে যেতে চান মোদী-শাহেরা।
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক ১৬ মাস আগে বিজয় রূপাণী দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। তিনি আনন্দীবেন পটেলের জায়গায় এসেছিলেন। ওই নির্বাচনে রূপাণীকে সামনে রেখেই ভোটে যায় বিজেপি। এবং জিতেও যায়। নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী হন বিজয়। কিন্তু সম্প্রতি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে তাঁর সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশাসক হিসাবেও রূপাণী ব্যর্থ বলে দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে। ভোটের আগে তাঁ রূপাণীকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইল না বিজেপি।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)