জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি রয়েছে এ রাজ্যে। লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই ওই কর্মসূচি। কিন্তু, নির্ধারিত কর্মসূচিতে সামান্য পরিবর্তন আনতে হয়েছে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার কারণে।
প্রাথমিক ভাবে বঙ্গ বিজেপি ঠিক করেছিল, আগামী ৫, ৭ এবং ৯ ডিসেম্বর রাজ্যের তিন জায়গা থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। কিন্তু, ৭ ডিসেম্বর রাজস্থান এবং তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন বলে ৫ ডিসেম্বরের রথযাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর।
আগেই বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী ৫ ডিসেম্বর রথযাত্রা শুরু হবে তারাপীঠ থেকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাঢ়বঙ্গ থেকে বার হওয়া ওই রথে থাকবেন। কিন্তু, অমিত শাহ ওই সময়ে রাজস্থানে দলের প্রচারকাজে ব্যস্ত থাকবেন বলে তা পিছিয়ে দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে, ৭ এবং ৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচি অপরিবর্তিতই থাকছে। কেবলমাত্র ৫ তারিখের বদলে তারাপীঠের রথযাত্রা পিছিয়ে হচ্ছে ১৪ ডিসেম্বর। আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় শেষ হওয়ার কথা তিনটি রথযাত্রার।
বিজেপি সূত্রে খবর, ১৪ ডিসেম্বর তারাপীঠে পুজো দিয়ে রথযাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। তার আগে যদিও ৫ ডিসেম্বর রথযাত্রা শুরু হবে কোচবিহার থেকে। মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে সূচনা হবে ওই রথযাত্রার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ওই রথে থাকবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। অন্য দিকে দক্ষিণবঙ্গের রথটি ৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করবে গঙ্গাসাগর থেকে। কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে সে রথযাত্রার সূচনা করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপি তেমনটাই পরিকল্পনা। তবে, আদিত্যনাথ ওই দিন থাকবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
অমিত শাহের রথযাত্রা কর্মসূচি পিছিয়ে গেলেও ওই বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে বিজেপির দুই সদস্য এসেছেন বলে জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। তাঁরা হলেন, গুজরাতের বিজেপি নেতা তথা অমিত শাহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই নেতা অমিত ঠক্কর ও প্রদীপ বাঘেলা।
বিজেপির প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল রথযাত্রার সমাপ্তি হবে কলকাতার ব্রিগেডে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যদিও মোদীর এখনও কোনও তারিখ পাওয়া যায়নি। তাই ব্রিগেডের প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদী না হয়ে কে হবেন, তা জানা যায়নি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে কলকাতায় মোদীর জনসভা হতে পারে।