জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সিএএ এবং এনআরসি ইস্যুতে ফের উত্তাল দিল্লি, ভাঙচুর-ইটবৃষ্টির পাশাপাশি গাড়ি জ্বালানোর মতো ঘটনাও ঘটল। শুক্রবার দিল্লি গেটের কাছে ভীম আর্মির প্রতিবাদ মিছিল আটকায় পুলিশ। এর পর পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে চাইলে, জলকামান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। উত্তেজিত জনতা এর পর ভাঙচুর চালায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি। পুলিশ পাল্টা তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-র বিরুদ্ধে শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লির জামা মসজিদ থেকে ভীম আর্মির প্রতিবাদ মিছিল বার হয়। যন্তরমন্তর পর্যন্ত ওই মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। প্রথমে দিল্লির দরিয়াগঞ্জের কাছে সেই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তার পর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ইন্ডিয়া গেটের কাছে পুলিশের বিশাল বাহিনী ব্যারিকেড করে ওই মিছিল আটকায়। বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার সকাল থেকে রাজীব চক, প্রগতি ময়দান, খান মার্কেট-সহ দিল্লির ১৭টি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই জলকামান চালানো হয়। ছত্রভঙ্গ জনতা ক্ষেপে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশ এ বার লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা। তাতে আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় র্যাফ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের ১১ জন জখম হয়েছেন। দিল্লি পুলিশেরও কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবার সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশেও অশান্তি হয় বিভিন্ন জায়গায়। ফিরোজাবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের গুলিতে এক জনের মৃত্যুও হয়। কানপুরে পুলিশের গুলিতে ৮ জন জখম। এ ছাড়া বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর-সহ একাধিক জায়গায় পথে নামেন বিক্ষোভকারীরা।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)