জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে (Covid India) রাজ্যগুলোকে বার্তা দিল কেন্দ্র সরকার। দেশ জুড়ে যেভাবে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে তাতে নতুন করে আতঙ্কের আবহ তৈরি হচ্ছে। প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশকে রীতিমতো শ্বশানে পরিণত করেছিল। সেই দিন আর দেখতে চায় না কোনও সরকারই। তার মধ্যে দেশে ঢুকে পডেছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। যার দাপটও ক্রমশ বাড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে। যে কারণে রাজ্যগুলোকে কোনও সমস্যায় হালকাভাবে না নেওয়ার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষ করে সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে উপসর্গহীন সংক্রমণের পরিমাণ অনেক বেশি। যে কারণে ধরা পড়ছে না। যার ফলে ওমিক্রন সংক্রমণ ক্রমশ গোষ্ঠী সংক্রমণের রূপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দিল্লি ও মুম্বইয়ে যে ভাবে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যাঁরা ওমিক্রন আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের কারও বিদেশ থেকে আসার ইতিহাস নেই। শুরুতে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের মধ্যেই এই সংক্রমণ দেখা যাচ্ছিল। যা এখন তাঁদের আশপাশে থাকা মানুষদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে।
কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলো বলা হয়েছে, কারও যদি জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, শ্বাসসকষ্ট, গা-হাত-পা ব্যথা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, ক্লান্তি এবং ডায়রিয়ার মতো কোনও সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাঁর কোভিড হতে পারে ধরে নেওয়া হবে। এবং তাঁদের পরীক্ষা করাতেই হবে। ওমিক্রনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্ব জুড়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে যাঁদের মধ্যে এই উপসর্গগুলো রয়েছে তাঁরা যেন নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে নিভৃতবাসে চলে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের অশনী সঙ্কেত দিয়ে জানিয়েছে, এর ফলে গোটা বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। বিশেষ করে বড় শহরে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও একই জিনিস দেখা গিয়েছিল। চিকিৎসা ব্যবস্থা একটা সময়ের পর রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে গেছিল। সেই দিন যেন আর না দেখতে হয় তার জন্যই আগাম এই সতর্কতা। ইতিমধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৭৬৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। তার মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত ১২০০।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)